1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ঝালকাঠি থেকে ১১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ১০ দেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রী পরিবহন তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

৪ হাজার ১৬৮ কোটি টাকায় ৪ নদী খননের উদ্যোগ

পোর্ট এন্ড শিপিং রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

পানি প্রবাহ পুনরুদ্ধার, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও বন্যা ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে জিনাই, ঘাটট, বংশী ও নাগদা নদী খননের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৬৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই চার নদীর সংকুল এলাকা খননের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার করা হবে। বছরব্যাপী নির্বিঘেœ বাধাহীনভাবে নৌযানের চলাচল নিশ্চিত করার জন্য নৌপথ নাব্য করা হবে। ল্যান্ডিং স্টেশন ও সমস্যা সংকুলানে নদী তীর রক্ষা করা হবে। পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ২৯ জুন অনুষ্ঠিত হয় পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা।
ঐ সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে বিআইডব্লিউটিএ।
প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নীলফামারী হতে গাইবান্ধা পর্যন্ত বিস্তৃত ঘাঘট নদী, জামালপুর হতে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ পর্যন্ত প্রবাহিত বংশী নদী, শেরপুর হতে টাঙ্গাইল পর্যন্ত বিস্তৃত জিনাই নদী এবং গাজীপুর জেলার নাগদা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে কোনো খনন কাজ না হওয়ায় পলি পড়েছে। বর্ষাকালে নাব্যতা থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রবাহ কমে গিয়ে নৌ চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।এজন্য এগুলোর নাব্যতা উন্নয়নের জন্য ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং আইডব্লিউএমের মাধ্যমে সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়। ঘাঘট নদীটি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার অন্তর্গত কাইমারি ইউনিয়নে তিস্তা নদী থেকে শুরু হয়ে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিযনে যমুনা নদীতে পতিত হয়েছে। নদীটি উজানের তুলনায় ভাটিতে বেশ চওড়া। নদীটির দৈর্ঘ্য ১৯২ কিলোমিটার, প্রস্থ সর্বনি¤œ ২০ মিটার, সর্বোচ্চ ৫০ মিটার, গড় ৪০ মিটার।
নদীতে বর্ষাকালে পানি প্রবাহ অনেক বেশি থাকলেও ফেব্রুয়ারী-এপ্রিল পর্যন্ত কোনো প্রবাহ থাকে না। বর্তমানে ঘাঘট নদীটি কোনো নৌপথ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত নয়। খননের ফলে এই নদীটির কিছু অংশ ক্লাস আইভি নেভিগেশনাল রুটে উন্নীত হবে।
বংশী নদীটি জামালপুর সদরের হামিদপুর পুরাতন ব্রক্ষ্মপুত্র নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম হজরতপুরে ধলেশ্বরী নদীতে পতিত হয়েছে। আবার জামালপুর সদরের সুলতান নগরের বামুজি বিল থেকে একটি শাখা বের হয়ে বংশী নাম ধারণ করে জামালপুর সদরের রশিদপুর নামক স্থানে এসে মূল বংশী নদীতে পতিত হয়েছে।
নদীটির দৈর্ঘ্য ২৬০ কিলোমিটার, প্রস্থ সর্বনি¤œ ৫ মিটার, সর্বোচ্চ ২০০ মিটার। নদীটি সাভারের ফোর্টনগর হতে নয়াহাট-ধামরাই-শৈলান-কালামপুর-কুশুরা-বালিয়া-রাজাপুর পর্যন্ত ৬৩ কিলোমিটার খনন প্রয়োজন হবে।
জিনাই নদীটি শেরপুর জেলার ১ নং কামারচর ইউনিয়নে পুরাতন ব্রক্ষপুত্র নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার নাগবাড়ি ইউনিয়নে এসে ফটিকজানি ও চাপাই নাম ধারন করে বংশী নদীতে পতিত হয়েছে।
জিনাই নদীর গতিপথে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলা কামারাবাদ ইউনিযনে ঝারকাটা নদী এসে মিশে পুনরায় বের হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ভূ-খন্ডে জিনাই নদীটির দৈর্ঘ্য ১৪২ কিলোমিটার, প্রস্থ সর্বনি¤œ ২০ মিটার, সর্বোচ্চ ৬০ মিটার। নাগদা নদীটি গাজীপুর জেলার পলাশ উপজেলার চর সিন্দুর ইউনিয়নের কাছে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে একই জেলার সদর উপজেলার বড়িয়া ইউনিয়নে বালু নদীতে পতিত হয়েছে।
নদীটির দৈর্ঘ্য ২২ কিলোমিটার, প্রস্থ সর্বনি¤œ ৫ মিটার, সর্বোচ্চ ২৫ মিটার। শীতলক্ষ্যার সাথে সংযোগ স্থলে নির্মাণ করা ব্রীজের নিচের অংশ ভরাট হওয়ায় নদীটির শীতলক্ষ্যার সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। শীতলক্ষ্যার সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায অুতীতের তুলনায় পানি প্রবাহের পরিমাণ কমে গেছে।
প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে,২ হাজার ১৬৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ, ৫০৫ দশমিক ৫ লাখ বর্গমিটার প্রকৌশল জরিপ, ২ হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষতিপুরণ, ১৪০ লাখ ঘনমিটার মাটির ডাইক নির্মাণ, ৩২৯ দশমিক ৫০ লাখ ঘন মিটার বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজার দ্বারা খনন, ৬ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ এবং ৪৮০ জনমাস পরামর্শক সেবা। সূত্র : সারাবাংলা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT