চলতি বছর বিমানে ভ্রমণের চাহিদা প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্বের প্রধান বিমান সংস্থাগুলো। তবে একই সঙ্গে তারা ভ্রমণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ার বিষয়েও আগাম বার্তা দিয়েছে। খবর সিএনবিসির।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে তেলের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বেড়েছে বিমানের জ্বালানির দাম। যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে এই দাম বেড়ে ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় ভবিষ্যতে তেলের এ সংকট আরও বাড়তে পারে, যদিও বিমানের জ্বালানির দাম কমানোর কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু জ্বালানির দাম গত বছরের চেয়ে এখনো ৩৫ শতাংশ বেশি।
বিমান সংস্থাগুলো জানিয়েছে, স্বাভাবিক অবস্থায় বসন্ত ও গ্রীষ্ম কালে বৈশ্বিক ভ্রমণ বেড়ে যায়। এর ফলে তখন টিকিটের দামও বাড়ে। এখন যুদ্ধের কারণে জ্বালানির খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিমানের টিকিটের দামেও তার প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সেই লক্ষণ দেখাও যাচ্ছে। এয়ারলাইনস রিপোর্টিং করপোরেশন জানিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান সংস্থাগুলোর বিক্রীত টিকিটের গড় দাম ছিল ৪০৯ ডলার, যা ফেব্রুয়ারি মাসে বেড়ে দাঁড়ায় ৪৬৪ ডলারে।
অবশ্য টিকিটের বাড়তি দাম প্রভাব ফেলেনি ভ্রমণকারীর সংখ্যায়। বরং করোনার আগের চেয়েও বর্তমানে বেশি যাত্রী পাচ্ছে তারা। এতে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা দেখছে বিমান সংস্থাগুলো।
ডেলটা এয়ারলাইনস জানিয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যে যাত্রীদের আগাম আসন সংরক্ষণের (বুকিং) পরিমাণ ২০১৯ সালের মোট আসন সংরক্ষণের পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে। আমেরিকান এয়ারলাইনসের গত সপ্তাহের আয় করোনার আগের অর্থাৎ ২০১৯ সালের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অপর বিমান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারলাইনসও আয় বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছে।
Leave a Reply