চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছে আটক হয়েছে দুই পণ্যবাহী বিদেশি জাহাজ। এর মধ্যে একটি জাহাজ ১ হাজার ৪৮ টিইউস কন্টেইনার নিয়ে ভাসছে বন্দরের বহির্নোঙরে। জাহাজে থাকা ৩০ ক্রুর খাবার শেষের দিকে। অনিশ্চয়তায় পড়েছে রপ্তানিমুখী এই জাহাজের পণ্য।
জাহাজ দুটি হচ্ছে—লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ‘সান আলফেনসো’, অন্যটি মার্শাল আইল্যান্ডের ‘সেলসিয়াস নেলসন’। বাংলাদেশের পাট রপ্তানিকারক রাজ্জাক জুট ইন্ডাস্ট্রিজের মালিকের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে জাহাজ দুটি জব্দ করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি ১৫ কোটি টাকা পাওনা দাবি করেছেন।
লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ ‘সান আলফেনসো’ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে আটক হয়েছে। জাহাজটি ১ হাজার একক রপ্তানি কন্টেইনার ভর্তি করে চট্টগ্রাম ছাড়ার কথা ছিল। এখন রপ্তানি কন্টেইনার বোঝাই করেই বন্দর ছাড়তে পারছে না। জাহাজটি পরিচালনা করে ট্রান্স ওয়ার্ল্ড ফিডারস। বাংলাদেশে তাদের এজেন্ট কর্ণফুলী গ্রুপ।
প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক (শাখা প্রধান) মো. মেশরুল আলম বলেন, ‘আমাদের জাহাজটি রপ্তানিমুখী ১ হাজার ৪৮ টিইউস কন্টেইনার নিয়ে ভাসছে। জাহাজে থাকা ক্রুদের খাবারও শেষ পর্যায়ে। কী করবো বুঝতে পারছি না। জটিলতার কারণে রপ্তানিমুখী পণ্যগুলো যথাসময়ে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছনো নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন ২০ হাজার ডলার ক্ষতি হচ্ছে। জাহাজ আটকে রাখার কারণে বন্দরের সুনামও নষ্ট হচ্ছে। গত ২২ মার্চ জাহাজটি আটক করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।’
এদিকে মার্শাল আইল্যান্ডের জাহাজ ‘সেলসিয়াস নেলসন’ ২১ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। ২২ মার্চ জাহাজটি জেটিতে ভিড়লে ১ হাজার ৫০টি আমদানি কন্টেইনার নামানো হয়।
জাহাজটি পরিচালনা করে সিঙ্গাপুরভিত্তিক ফিডারটেক কোম্পানি। বাংলাদেশে তাদের শিপিং এজেন্ট হচ্ছে ক্রাউন নেভিগেশন কোম্পানি।
প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাহেদ সারোয়ার বলেন, ‘বন্দরের বার্থিং মিটিংয়ে গিয়ে আমরা জানতে পারি, জাহাজটি আটক হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানলাম, আমদানিকারকের সঙ্গে বিদেশি রপ্তানিকারকের অর্থ সংক্রান্ত পাওনার কারণে এডমিরালিটি স্যুটে গিয়ে মামলা হয়। আদালত জাহাজটি আটকের নির্দেশ দেন। এটিও বহির্নোঙ্গরে আছে।’
Leave a Reply