চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ১৪০ থেকে ১৪২টি উড়োজাহাজ সরবরাহ করেছে এয়ারবাস। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ বেশি। এভিয়েশন খাতের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। যদিও সরবরাহ প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইউরোপীয় উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্রটি জানিয়েছে, পরিসংখ্যান অনুসারে মার্চে প্রায় ৬২টি উড়োজাহাজ সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি দীর্ঘমেয়াদি স্টোরেজ থেকে দেয়া হয়েছে। এয়ারবাস একক আইলের উড়োজাহাজের উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। যদিও সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ রয়েছে।
মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক জেফরির বিশ্লেষক ক্লোয়ি লিমারি প্রথম প্রান্তিকে এয়ারবাসের ১৩৯টি উড়োজাহাজ সরবরাহের পূর্বাভাস দিয়েছেন। তবে তিনি চাহিদা ও উৎপাদন নিয়ে চ্যালেঞ্জের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন।
কাতার এয়ারওয়েজের সঙ্গে একটি আইনি বিরোধের জেরে এয়ারবাস আদালতে জমা দেয়া তথ্যে জানিয়েছে, মার্চ পর্যন্ত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে ৫০টি সরু বডির জেট তৈরি করেছে। এর মধ্যে ২৭টি এ৩২১নিও মডেলের। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ উৎপাদনকে ৬১টিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির। এর মধ্যে ৩৩টি হবে এ৩২১নিও। এয়ারবাসের লক্ষ্য, ২০২৫ সাল নাগাদ প্রতি মাসে উড়োজাহাজ উৎপাদন ৭০-এর উপরে নিয়ে যাওয়া।
এভিয়েশন খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি স্পষ্টতই একটি চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য। এটি করতে গেলে সরবরাহকারীদের ওপর চাপ বাড়াতে হবে সংস্থাটিকে। এখন পর্যন্ত এয়ারবাস প্রকাশ্যে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি নাগাদ প্রতি মাসে উৎপাদন ৬৫টিতে উন্নীতের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে।
Leave a Reply