জ্বালানি তেলের দাম দিনে দিনে বাড়ছে। তাই গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো হাইব্রিড ও ইলেকট্রিক গাড়ির দিকে ঝুঁকছে। হাইব্রিড গাড়ির তুলনায় ইলেকট্রিক গাড়ির দাম বেশি। তাই ইচ্ছা থাকলেও সাধ্যে কুলায় না অনেকেরই। যাদের সাধ আছে কিন্তু সাধ্য নেই তাদের জন্য এগিয়ে এলো হোন্ডা। বিখ্যাত এই গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পেট্রোল ইঞ্জিন ও ইলেকট্রিক মোটরের গাড়ি এনেছে। একটি গাড়িতে একই সঙ্গে দুই ধরনের ইঞ্জিন। যা হাইব্রিড গাড়ি নামে পরিচিত। যদিও হোন্ডার নতুন গাড়ি হাইব্রিড গাড়ির চেয়েও অত্যাধুনিক।
হোন্ডার এই গাড়ির মডেল সিটি হাইব্রিড ইএইচইভি। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে এই গাড়িদে ২৬.৫ কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়া যাবে। চমকপ্রদ এই মাইলেজ পাওয়ার পেছনে রয়েছে হোন্ডার উদ্ভাবনী শক্তি। কেননা, এই গাড়িতে একই সঙ্গে ব্যাটারিচালিত ইলেকট্রিক মোটর এবং পেট্রোল ইঞ্জিন রয়েছে।
হোন্ডা জানিয়েছে, জাানাচ্ছে, এক জোড়া ইলেকট্রিক মোটর এবং হাইব্রিড সিস্টেমে সেলফ চার্জিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ অন্য বৈদ্যুতিক গাড়িগুলোর মতো একে আলাদা করে চার্জ দিতে হবে না। আবার এতে পেট্রোলও কম পরিমাণে প্রয়োজন হবে কারণ এটি পেট্রোল-ইলেকট্রিক হাইব্রিড মডেল। ফলে সাধারণ পেট্রোল গাড়ির তুলনায় এই গাড়ির মাইলেজ ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বেশি হবে।
ইঞ্জিনের ক্ষমতা : হোন্ডা সিটি ইএইচইভি গাড়ির পেট্রোল ইঞ্জিনের ক্ষমতা ৯০ বিএইচপি। অন্য দিকে এক জোড়া ইলেকট্রিক মোটর একসঙ্গে ১২৬পিএস পাওয়ার উৎপাদন করতে পারে। গাড়িটিতে গিয়ারবক্সও নেই। কারণ একটি বৈদ্যুতিক মোটরের মাধ্যমে সরাসরি চাকায় পাওয়ার সার্ভ করা হয়।
honda একটি নির্দিষ্ট গতিবেগ পর্যন্ত ইলেকট্রিক মোডে চালানো যাবে গাড়িটি। সাধারণত প্রতি ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিবেগ পর্যন্ত এইভাবে চলবে। তার চেয়ে বেশি গতিবেগে চালু হবে পেট্রোল ইঞ্জিন। অন্যান্য বৈদ্যুতিক গাড়ির মতোই হোন্ডার গাড়িতে স্টিয়ারিং প্যাডেলের মাধ্যমে রিজেনারেটিভ ব্রেকিং রয়েছে। এছাড়াও আরও একাধিক আধুনিক ফিচার থাকছে এই মডেলে।
হোন্ডা গাড়িটির নিরাপত্তার দিকে বেশ মনোযোগ দিয়েছে। এতে রয়েছে চারটি ডিস্ক ব্রেক ও ৬টি এয়ারব্যাগ। থাকছে আধুনিক হ্যান্ড ব্রেকও।
Leave a Reply