দেশে প্রবেশে বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগবে তিনদিন আগে অনলাইনে পূরণ করা হেলথ ডিক্লারেশন ফরম। এ তথ্য জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এরইমধ্যে বেবিচক থেকে এ সংক্রান্ত নতুন বিধিনিষেধ জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, দেশে আসতে তিনদিন আগে অনলাইনে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হবে।
আগামী সোমবার থেকে বেবিচকের এ কার্যকর শুরু হবে বিমানবন্দরে। তবে, করোনা মহামারির কারণে উড়োজাহাজে যাত্রীসংখ্যার ওপর যে বিধিনিষেধ ছিল তা শিথিল করেছে বেবিচক। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদস্য ফ্লাইট স্টান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী এম. জিয়াউল কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বেবিচকের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ফরমটি পূরণ করার পর কিউআর কোডযুক্ত হেলথ কার্ড আসবে। সেটি প্রিন্ট করে বা মুঠোফোনে সফট কপি নিজের কাছে রাখতে হবে। কোনো দেশে ট্রানজিট হয়ে বাংলাদেশে এলে ট্রানজিট বিমানবন্দরে চেকইন করার আগে নতুন করে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হবে। বোর্ডিংয়ের সময় এয়ারলাইন্স যাত্রীর হেলথ কার্ড আছে কি না, তা যাচাই করবে। দেশে আসার পর বিমানবন্দরে কিউআর কোডযুক্ত হেলথ কার্ড দেখাতে হবে যাত্রীকে।
জানা গেছে, যাত্রীদের কাছে কিউআর কোডসহ হেলথ ডিক্লারেশন ফরম আছে কি না, তা বিমানবন্দরে অপারেটররা বোর্ডিংয়ের আগে নিশ্চিত করবেন। যাত্রীরা কিউআর কোডসহ হেলথ ডিক্লারেশন কার্ডটি (সফট বা প্রিন্ট কপি) ইমিগ্রেশনে দেখাবেন এবং কোনো যাত্রীর করোনার উপসর্গ থাকলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ইমিগ্রেশনের আগে হেলথ ডেস্কে যোগাযোগ করবেন।
বেবিচক কর্মকর্তারা জানান, এতদিন বিদেশ থেকে আসার পর বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশনের আগে যাত্রীদের পূরণ করতে হতো হেলথ ডিক্লারেশন ফরম। বিমানবন্দরে এসে হাতে লেখা এ ফরম পূরণ করতে গিয়ে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো। এ জটিলতা দূর করতে দেশে আসার তিন দিনের আগে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করার নিয়ম চালু করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত ৭ এপ্রিল সংশ্নিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষগুলোকে চিঠি দেয়। আগে ৩০০ যাত্রী ধারণে সক্ষম উড়োজাহাজে ৯৫ শতাংশের বেশি যাত্রী না নেওয়ার বিধান ছিল।
বেবিচকের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ছোট পরিসরের উড়োজাহাজের ইকোনমি ক্লাসের শেষ সারি ফাঁকা রাখতে হবে করোনায় আক্রান্ত সন্দেহজনক ব্যক্তির জন্য। আর বড় পরিসরের উড়োজাহাজের ইকোনমি ক্লাসের শেষ সারি এবং বিজনেস ক্লাসের একটি কেবিন ফাঁকা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত যেকোনো টিকার পূর্ণ ডোজ যারা নিয়েছেন, তারা বাংলাদেশে এলে করোনা পরীক্ষা করতে হবে না। যাত্রীদের সঙ্গে টিকা নেওয়ার প্রমাণ রাখতে হবে। আর যে যাত্রীরা এক ডোজ কিংবা কোনো টিকা নেননি, তাদের বাংলাদেশ আসতে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্ট আসতে হবে। ১২ বছরের কম বয়সীদের কোনো করোনা পরীক্ষা করাতে হবে না। তবে তাদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত অন্যান্য নির্দেশনা মানতে হবে।
Leave a Reply