বাজারে চাহিদার তুলনায় ডলারের সরবরাহ কম থাকার কারণে এর দাম হু হু করে বাড়ছে। গত সোমবার আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলারের দাম ৮০ পয়সা বেড়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। মঙ্গলবার তা আরও ১০ পয়সা বেড়েছে। এদিন প্রতি ডলার ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৮৭ টাকা ৬০ পয়সা দরে বিক্রি হয়েছে। আন্তঃব্যাংকে দাম বাড়ায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে এর দাম বেড়েছে। মঙ্গলবার আমদানির জন্য প্রতি ডলার ৮৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৭০ পয়সা দরে বিক্রি হয়েছে। আগের দিন ছিল ৮৭ টাকা ৬০ পয়সা। নগদ ডলার ব্যাংক ভিন্ন ভিন্ন দরে বিক্রি করছে। সরকারি ব্যাংকগুলোতে এর দাম কিছুটা কম হলেও বেসরকারি ব্যাংকে বেশি। সরকারি ব্যাংকগুলো ক্যাশ ডলার ৯১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৯৩ টাকা দরে বিক্রি করছে।
বেসরকারি ব্যাংকগুলো ৯৩ টাকা থেকে ৯৭ টাকা দরে বিক্রি করছে। ডলারের পাশাপাশি অন্যান্য মুদ্রার দামও বেড়েছে। এর মধ্যে পাউন্ড ১০৮ টাকা, ইউরো ৯২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়া মানিচেঞ্জারগুলোও ডলার বিক্রি করে। এগুলোতে প্রতি ডলার ১০১ টাকা থেকে ১০২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে মানিচেঞ্জারগুলোতে এখন ডলারের জোগান নেই বললেই চলে। মতিঝিল কার্ব মার্কেটে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে ডলারের জোগান নেই। তারা নগদ ডলার বিক্রি করছে ১০৩ টাকা করে। তবে কিনছে ১০১ টাকা করে।

কার্ব মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, আগে বিদেশ থেকে প্রবাসীরা যেসব নগদ ডলার নিয়ে আসতেন সেগুলোর একটি অংশ কার্ব মার্কেটে বিক্রি করতেন। সেগুলোই ডলার পাওয়ার তাদের প্রধান উৎস্য। কিন্তু করোনার পর ওই উৎস থেকে ডলার পাওয়া কমে গেছে। এছাড়া সম্প্রতি ব্যাংকে ডলারের সংকট হওয়ায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কার্ব মার্কেটে নজরদারি বাড়িয়েছে। ফলে অনেকেই কার্ব মার্কেটে ডলার বিক্রি করতে আসে না। তবে অনেকে বেশি দামের আশায় মানিচেঞ্জারগুলোতে ডলার বিক্রি করছে। এক্ষেত্রে প্রবাসীরা ৯৮ টাকা করে পাচ্ছেন। মানিচেঞ্জার বা কার্ব মার্কেট থেকে ডলার নিয়ে অনেকে বিদেশে যাচ্ছেন। এগুলো বিশেষ করে চিকিৎসা, শিক্ষা ও ভ্রমণ খাতে ব্যয় করছেন।
Leave a Reply