ফেরি পার হতে একটি বাসকে গুনতে হতো ১৪০০ টাকা। সময় লাগতো ৪ ঘন্টা (ঘাটে ওয়েটিং টাইমসহ)। এবার ব্রিজ পার হতে টোল দিতে হবে ২৪০০ টাকা। সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট।
এবার ঠান্ডা মাথায় ভাবুন তো, আসলে প্রকৃত খরচ কতো বাড়লো? আগের তুলনায় বাস প্রতি খরচ বেড়েছে ১০০০ টাকা। যেহেতু ফেরি পার হতে আগেই আপনাকে বাস প্রতি ১৪০০ টাকা দিতে হতো। এবার এই বাড়তি ১০০০ টাকা যদি আপনি ৪০ জন যাত্রী প্রতি ভাগ করে দেন, তাহলে সর্বোচ্চ ভাড়া বাড়তে পারে জনপ্রতি ৫০ টাকা। আবার অন্যভাবে দেখলে বাস মালিকরা ভাড়া না বাড়িয়েও মুনাফা করতে পারেন। কারণ, আগে যেখানে একটি বাসের একটি ট্রিপ দিতে ১২ ঘন্টার মতো লাগতো সেখানে ঐ একই সময়ে ২টি ট্রিপ দিতে পারবে। ফলে টোলের খরচ যা বাড়বে তার থেকে লাভের পরিমাণ অনেক বেশি হবে। এবার যদি মালিক পক্ষ একটু বিচক্ষণ হন তাহলে ভাড়া না বাড়ালেই তাদের বেশি লাভ হতে পারে। কেননা মানুষের যাতায়াত আগের থেকেও অনেক বাড়বে। বাস মালিকদের ট্রিপ বাড়বে। সেই সঙ্গে আয় বাড়বে। সেক্ষেত্রে টোল না বাড়ালেও কোনো ক্ষতি হবে না। উল্টো আরো লাভের পরিমান বাড়বে।
মনে রাখতে হবে, প্রকৃত খরচ আগের থেকে বাস প্রতি মাত্র ১০০০ টাকা বাড়ছে। কিন্তু ৪০ যাত্রীর সময় বেচে যাবে ১৬০ ঘন্টা। সুতরাং, টোল বেশি, টোল বেশি এটা নিয়ে হা-হুতাশ না করে সবাই মিলে এটা নিয়ে আন্দোলন করতে পারি, যেনো এই সামান্য বাড়তি টোলের অজুহাত দেখিয়ে ভাড়া অযৌক্তিকভাবে না বাড়াতে পারে। আসলে পদ্মা সেতুর কারণে যে সুবিধা পাবেন যাত্রী এবং বাস মালিকরা তাতে ভাড়া বাড়ানোর কোনোই প্রয়োজন নেই। সরকার এবং জনগন সবার সেই দিকেই সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত।
Leave a Reply