রাজধানী ঢাকায় যানজটে বছরে ক্ষতির পরিমাণ ৩৩ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণাধীন এমআরটি-৬ (মেট্রোরেল) তিন হাজার ৪৯০ কোটি টাকা ক্ষতি কমবে। যাতায়াতের সময় কমায় দিনে ক্ষতি কমবে আট কোটি ৩৮ লাখ টাকা। পরিবহন পরিচালনা বাবদ দৈনিক সাশ্রয় হবে এক কোটি ১৮ লাখ টাকা।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘প্রগ্রেস অ্যান্ড প্রসপেক্ট অব এমআরটি লাইন-৬’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানান মেট্রোরেলের নির্মাণকারী সরকারি কোম্পানি ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম, এ, এন, ছিদ্দিক।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান। একই অনুষ্ঠানে এমআরটি-১ এর লাইসেন্স হস্তান্তর করেন দুই মেয়র।
সেমিনারের পর সচিব ও মেট্রোরেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এমআরটি-৬ লাইনের স্টেশন থেকে সিঁড়ি নামানোর পর ফুটপাত অবশিষ্ট না থাকার বিষয়ে এম, এ, এন, ছিদ্দিক বলেন, প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা হয়েছিল আগের সরকারের সময়ে। তখন মিরপুর এলাকার ফুট ওভারব্রিজের সিঁড়ি ফুটপাতেই ছিল। কাজ শুরুর পর দেখা যায়, সিঁড়ি নির্মাণের পর ফুটপাত থাকছে না। ফলে সিঁড়ির পাশে তিন মিটার করে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে ফুটপাত নির্মাণে।
কবে কাজ শুরু হবে- এ প্রশ্নে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত (এমআরটি-১) মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক সাইদুল হক জানান, পরিকল্পনায় দীর্ঘ সময় লাগলেও বাস্তবায়ন দ্রুত হবে। তিনটি টানেল বোরিং মেশিনে (টিবিএম) প্রতিদিন ৩০ মিটার করে পাতাল রেলপথ নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে। স্টেশন নির্মাণ হবে ওপেন কাট পদ্ধতিতে। এমআরটি-১ মাটির ৩০ মিটার গভীরে নির্মিত হওয়ায় জনদুর্ভোগ হবে না। প্রতিটি স্টেশন নির্মাণে ছয় মাস করে সময় লাগবে।
Leave a Reply