1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
র‌য়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির নতুন ৪ বাইকের যত ফিচার ঝালকাঠি থেকে ১১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ১০ দেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা

নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই দেবে গেল সাড়ে তিন কোটি টাকার সেতু

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
  • আপডেট : শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২

টাঙ্গাইলে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু দেবে গেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টাঙ্গাইল-বেড়াডোমা-ওমরপুর সড়কের বেড়ডোমা এলাকার লৌহজং নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি দেবে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার কারণে সেতুটি দেবে গেছে। এ ছাড়া এখানে ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারের গাফিলতি রয়েছে।
জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় টাঙ্গাইল পৌরসভা সেতুটির বাস্তবায়ন করছে। আট মিটার প্রস্থের ৩০ মিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে তিন কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার টাকা।
২০২০ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ব্রিকস অ্যান্ড ব্রিজ লিমিটেড ও দ্য নির্মিতি নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু করে। গত ১১ মে কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু গত সপ্তাহে সেতুটির ওপরের অংশে ঢালাই করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে সেতুটির সেন্টারিং সাটারিং সরে গিয়ে মাঝখানে প্রায় সাড়ে তিন ফুট দেবে যায়। ফলে নির্মাণকৃত সেতুটি কোনো কাজেই আসছে না।
বেড়াডোমা এলাকার বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই দেবে গেছে। ভেবেছিলাম অল্প দিনের মধ্যেই এই সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারব; কিন্তু এখন আরো দুর্ভোগ বেড়ে গেল। সেতুটি নির্মাণের শুরুতে বিকল্প হিসেবে বেইলি ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। সেটির অবস্থাও ভালো নয়। যানবাহন নিয়ে চলাচল করা যায় না।’ ভুক্তভোগী খোরশেদ হোসেন বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে সেতুটি দেবে গেছে।’
৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দুর্ভোগ লাঘবে কাজটি শেষ করার জন্য বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে; কিন্তু পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কোনো কথাই শোনে না। সেতুটি দেবে যাওয়ায় লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়ে গেল।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম ঘটনার পর দায়িত্ব এড়িয়ে বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকার। তবে জামিল ভাইসহ কয়েকজনে বাস্তবায়ন করছে। আমার নেতৃত্বে কোনো কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে না।’
পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার শিব্বির আহমেদ আজমী বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবগত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে মূল রহস্য উদঘাটন করা হবে।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT