► বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাশের মহাসড়কে ২০ কিমি যানজট
► ২০ কিমি যানজট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কেও
► ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও দুর্ভোগ
► যাত্রীর চাপ কমলাপুর স্টেশনেও
ঈদে ঘরে ফিরতে বাহন না পাওয়া এবং যানজটের ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। এত কিছুর পর প্রিয়জনের কাছে পৌঁছলে সব ক্লান্তি মুছে যাবে সবার। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবে স্বজন, বন্ধু ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আগে থেকেই ধারণা করছিলেন, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সবচেয়ে বেশি মানুষ ঢাকা ছেড়ে বাড়ির পথ ধরবে। এর প্রভাব পড়বে সব মহাসড়ক, রেল ও নৌপথে। হয়েছেও তাই। গতকাল শুক্রবার ছিল ঈদ যাত্রার চতুর্থ দিন। গতকাল দেশের অনেক মহাসড়কে যানজটে পড়ে যাত্রীরা। রেলে যাত্রীদের চাপে যেন তিলধারণের ঠাঁই নেই। লঞ্চেও ছিল প্রায় একই পরিস্থিতি। ফেরিঘাটেও গাড়ির দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে।
এবার যাত্রীদের ভোগান্তির শুরু একেবারে রাজধানী থেকেই। ঢাকা ছাড়ার জন্য বাস পাচ্ছে না হাজারো মানুষ। যানবাহন না পেয়ে ট্রাক, পিকআপ ভ্যানে বাড়ি যাচ্ছে কেউ কেউ। গুনতে হচ্ছে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া।
রাজধানী ছাড়তেই বড় কষ্ট : গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা। গুলিস্তান এলাকায় মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচে ধামরাইয়ের এক বাসে বসে আছেন সবুজ রহমান। এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটে তিনি পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথের দূরত্ব পাড়ি দিয়েছেন। তিনি বলেন, গুলিস্তান থেকে বাড়ি যাওয়ার বাসে উঠব। কিন্তু এখান থেকেই বাস নড়ছে না। হাঁটলে হয়তো ১৫ মিনিটে গুলিস্তান চলে যেতাম। সঙ্গে বড় বড় কয়েকটি ব্যাগ আর বাচ্চা না থাকলে হেঁটেই চলে যেতাম।
গুলিস্তান, গাবতলী ও সায়েদাবাদ এলাকায় বাসের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। বাসের আসন নিশ্চিত করার জন্য নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। কখনো কখনো সেই ভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যাচ্ছে। এদিকে আমিনবাজার থেকে ট্রাক, পিকআপে করে ঢাকা ছাড়ছে অনেকে। সেখানেও নেওয়া হচ্ছে ‘গলাকাটা’ ভাড়া।
Leave a Reply