বরিশাল-ঢাকা নৌপথে দিনে চলাচলকারী দ্রুতগামী নৌযান এমভি গ্রীন লাইনের যাত্রী পরিষেবা আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা প্রান্ত থেকে তাদের নির্ধারিত সার্ভিস স্থগিত করা হয়। গত সোমবার রাতে নিজেদের ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেয় গ্রীন লাইন কর্তৃপক্ষ।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকা-বরিশাল নৌপথে যাত্রী কমে গেছে। মূলত এই কারণেই আপাতত সার্ভিসটি স্থগিত করা হয়েছে বলে গ্রীন লাইন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ফেসবুক পেজের ঘোষণায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২৬ জুলাই থেকে গ্রীন লাইনের ঢাকা-বরিশাল ভায়া হিজলা নৌপথে চলাচলকারী জাহাজের সার্ভিস বন্ধ থাকবে। তবে ঢাকা-কালীগঞ্জ-ইলিশা রুটের এমভি গ্রীন লাইন-২ নিয়মিত চলাচল করবে।
গ্রীন লাইন ওয়াটার ওয়েজের মহা ব্যাবস্থাপক (জিএম) মো. আব্দুস ছাত্তার বলেন, ঈদের পরে প্রতি ট্রিপে ১০০ যাত্রীও হচ্ছিল না। আসলে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরে যাত্রী কমে গেছে। অনেকেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন ভাড়া কমাতে। তবে ক্যাটামেরান সার্ভিস পরিচালনায় ট্রিপ প্রতি খরচ বেশি। এছাড়া আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, ভাড়া কমালেও যাত্রী আশানুরূপ বাড়বে না।
যাত্রীদের দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার নিশ্চয়তা নিয়ে ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চালু করা হয়েছিল এই দিবা যাত্রীসেবা। মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় বরিশাল থেকে ঢাকা পৌঁছে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে এ সেবা চালু করছিল গ্রীন লাইন ওয়াটারওয়েজ।
মঙ্গলবার দুপুরে গ্রীন লাইনের বরিশাল কাউন্টারে যোগযোগ করা হলে ব্যবস্থাপক আল-আমিন বলেন, গ্রীন লাইনের নৌপথের দিবা সার্ভিসটি আপাতত বন্ধ থাকবে। তবে এটা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
Leave a Reply