কভিডের বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজে ভ্রমণের চাহিদা বেড়েছে। চলতি বছরের মাঝামাঝি গ্রীষ্মকালীন ছুটির মৌসুমে ভ্রমণ চাহিদা সংস্থাগুলোকে মুনাফায় ফিরতে সহায়তা করছে। এ অবস্থায় চলতি বছর বার্ষিক পরিচালন মুনাফায় ফেরার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে লুফথানসা গ্রুপ। ইউরোপের স্বল্প দূরত্বের চাহিদা গ্রুপটির যাত্রীবাহী এয়ারলাইনসের ফ্লাইট সংখ্যা বাড়িয়ে তুলবে বলে জানিয়েছে জার্মান রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাটি। খবর রয়টার্স।
২০২০ ও ২০২১ সালে কভিডজনিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় অন্য এয়ারলাইনসের মতো লুফথানসাও বিপুল পরিমাণ লোকসানের মুখোমুখি হয়েছিল। এ অবস্থা কাটিয়ে ভ্রমণ বাড়ায় এয়ার ফ্রান্স ও ব্রিটিশ এয়ারলাইনসের মালিকানা প্রতিষ্ঠান আইএজির মতো উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাগুলো বছরের মাঝামাঝিতে মুনাফা পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
লুফথানসা জানিয়েছে, আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বুকিংয়ের সংখ্যা গড়ে প্রাক-কভিড পর্যায়ের ৮৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ব্যবসায়িক ভ্রমণের বুকিং ৭০ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কারস্টেন স্পোহর বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি আরো বেশি ধনী ব্যক্তি হোটেল, ভাড়ার গাড়ি ও ব্যয়বহুল রেস্তোরাঁর পাশাপাশি উড়োজাহাজ টিকিট কেনার জন্য অর্থ ব্যয় করতে ইচ্ছুক। এ লোকেরা অর্থনৈতিক উত্থান ও মন্দার প্রতি কম সংবেদনশীল। যেকোনো পরিস্থিতিতেই তারা ব্যয়ের অভ্যাস চালিয়ে যান।
লুফথানসা আশা করছে, চলতি বছর গ্রুপটি ৫০ কোটি ইউরো (৫১ কোটি ডলার) পরিচালন মুনাফা পাবে। যেখানে গত বছর ২৩০ কোটি ইউরো লোকসান গুনেছিল প্রতিষ্ঠানটি। যদিও বিশ্লেষকরা সংস্থাটির ৫৬ কোটি ৯০ লাখ ইউরো মুনাফার পূর্বাভাস দিয়েছেন।
এয়ারলাইনস শিল্প বিশেষ করে ইউরোপে দ্রুত ভ্রমণ চাহিদা প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে। কর্মী ঘাটতির কারণে অনেক বিমানবন্দরে দীর্ঘ সারি তৈরি হচ্ছে। এমন নানা সংকটে এয়ারলাইনসগুলো শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট বাতিল করতেও বাধ্য হচ্ছে। ভ্রমণ বিশৃঙ্খলা উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাগুলোকে পূর্বের ঘোষিত ফ্লাইট সময়সূচি কাটছাঁটে প্ররোচিত করছে।
Leave a Reply