উত্তরায় গার্ডারচাপায় প্রাইভেট কারের পাঁচ যাত্রী নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাস র্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) সব ধরনের কাজ বন্ধ থাকবে বলে জানিছেন উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রকল্পের কাজ পরিচালনায় ন্যূনতম নিরাপত্তাব্যবস্থা নেই। ফলে কিছুদিন পরপরই দুর্ঘটনা ঘটছে। কমপ্লায়েন্স (নিরাপত্তাব্যবস্থা) নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ঢাকায় বিআরটির প্রকল্পের সব ধরনের কাজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে এ ঘোষণা দিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র। আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় বিআরটি, মেট্রো রেলসহ অনেকগুলো প্রকল্পের কাজ চলমান। সব প্রকল্পের পরিচালকদের আগামী বৃহস্পতিবার নগর ভবনে ডাকা হয়েছে। তারা নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করলেই কাজ শুরু করতে পারবে।

গতকাল সোমবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে উত্তরার জসীমউদ্দীন এলাকায় আড়ংয়ের সামনে ক্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। ভারী গার্ডারের নিচে প্রাইভেট কারটি চাপা পড়ায় শুরুতে মরদেহ বের করা সম্ভব হয়নি। দুর্ঘটনার প্রায় তিন ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে এক্সকাভেটর দিয়ে গাড়িটির ওপর থেকে গার্ডারটি সরিয়ে প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত পাঁচজন হলো মো. রুবেল (৬০), ফাহিমা আক্তার (৪০), ঝরনা আক্তার (২৮), ঝরনার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)।
পুলিশ বলছে, দুর্ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত হন দুজন। আহত দুজন হলেন মো. হৃদয় (২৬) এবং তাঁর স্ত্রী রিয়া মণি (২১)। তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁদের গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হতাহত সবাই একই পরিবারের সদস্য।
পুলিশ ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকায় একটি বউভাতের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয় হতাহত ব্যক্তিরা। দুর্ঘটনার পরপরই দুজনকে আহত অবস্থায় প্রাইভেট কার থেকে বের করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তখন গার্ডারের নিচে চাপা পড়া গাড়িটির ভেতরে পাঁচজন ছিল। তাদের দু-তিনজনকে বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছিল।
লাশ উদ্ধারের পর গত রাত পৌনে ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক সাইফুজ্জামান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন পুরুষ, দুজন নারী ও দুটি শিশু রয়েছে। তাদের সবার লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply