বিলাসী পণ্যসহ আমদানিতে লাগাম টানায় কমেছে আমদানির এলসি খোলার পরিমাণ। এর প্রভাব পড়ছে ডলারের বাজারে। গতকাল মঙ্গলবার কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে ১১৪ থেকে ১১৫ টাকায়। গত সপ্তাহেও এক ডলারে গুনতে হয়েছিল ১১৮ থেকে ১২০ টাকা।
রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা ও গুলশান এলাকার একাধিক মানি চেঞ্জারের কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা ডলার ১১২ টাকা ৫০ পয়সায় কিনে ১১৪ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি করছেন। অবশ্য আন্ত ব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হয়েছে ৯৫ টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এই দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে। নিয়ম অনুযায়ী, এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতেও এখন ১০৬ থেকে ১০৮ টাকায় নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে।
ডলারের বাজারে সরবরাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার আন্ত ব্যাংকে (বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে) প্রতি ডলার ৯৫ টাকা দরে মোট ৮০ মিলিয়ন বা আট কোটি মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গুলশানের মানি চেঞ্জারের কর্মকর্তা বলেন, ‘ডলার কেউ বিক্রি করতে এলে ১১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৩ টাকায় কিনছি। আর কেউ নগদ ডলার কিনতে এলে ১১৪ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি করছি। গত দুই-তিন দিন ধরে বাজার একই অবস্থা যাচ্ছে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসের ১১ দিনে দেশে মোট ১৬১ কোটি ডলার সমপরিমাণ মূল্যের আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে, যা জুলাই মাসের তুলনায় ৯৪ কোটি ডলার বা ৩৬ শতাংশ কম। জুলাই মাসে আমদানি হয়েছিল ২৫৫ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গেল জুলাই মাসে দেশে মোট ৫৫৫ কোটি ডলার মূল্যের পণ্যের আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে, যা জুন মাসের তুলনায় ৩০.২০ শতাংশ কম। জুন মাসে আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছিল ৭৯৬ কোটি ডলারের। তবে জুন মাসে অবশ্য মে মাসের তুলনায় আমদানি ঋণপত্র ৭ শতাংশ বেশি খোলা হয়েছিল। মে মাসে ঋণপত্র খোলা হয় ৭৪৪ কোটি ডলারের।
Leave a Reply