বিমানের পেশাদারিত্বের অভাবেই যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে তথ্য সরবরাহ না করার ফলে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদ উল হক। বিকল হওয়া বোয়িং ৭৩৭- এর ১৬০ যাত্রী নিয়ে গত শনিবার দিবাগত রাত ২টায় ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে ঢাকায় অবতরণ করে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট।
বিমান অবতরণের তথ্যবোর্ডে দেখা যায়, রাত ৩টায় ফ্লাইটটি দিল্লি থেকে ঢাকায় পৌঁছায়। ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের লাগেজ পাওয়া যাবে ১ নম্বর বেল্টে। রাত পৌনে ৪টায় বোর্ড থেকে ওই তথ্য সরিয়ে নেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিমান বাংলাদেশ জানায়, রাত ২টার দিকেই যাত্রীরা নিরাপদে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। কিন্তু অবতরণের ৩ ঘণ্টা পরও ওই ফ্লাইটের কোনো তথ্য ও যাত্রীদের বক্তব্য পায়নি সময় সংবাদ।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদ উল হক রোববার (২১ আগস্ট) সময় সংবাদকে বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে তথ্য সরবরাহ না করার ফলে একটা সমস্যা হচ্ছে। যেকোনো সংকটে তাদের উচিত একটি স্টেটমেন্ট। এসব বিষয় নিয়ে লুকোচুরি করা একদমই ঠিক না। এর মাধ্যমে তারা অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সব এয়ারক্রাফট নতুন। কিন্তু তা সত্ত্বেও নতুন এয়ারক্রাফটে প্রায়ই ত্রুটি দেখা যাচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য হয়। এজন্য বিমান মেইনটেনেন্স বিভাগের কোনো ঘাটতি আছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা উচিত।
প্রসঙ্গত, শনিবার ভারতের স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৩৭। সেই বিমানে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিল্লি থেকে ঢাকায় ফেরার কথা ছিল ১৬০ যাত্রীর। কিন্তু তার আগেই বাধে বিপত্তি। বিমানটির হাইড্রোলিক পাইপে ধরা পড়ে লিকেজ। আটকেপড়া যাত্রীদের দিল্লি থেকে আনতে পাঠানো হয় আরেকটি বিমান।
এর আগে, গত ১৯ জুলাই যান্ত্রিক ত্রুটিতে ভারতের কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেড়শতাধিক যাত্রী নিয়ে সাড়ে ৪ ঘণ্টা আটকে থাকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট।
Leave a Reply