মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নির্দেশে তদন্তের পর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের ৮৬৫টি গাড়ির হদিস পাওয়া গেছে। এসব গাড়ি অবৈধভাবে ব্যবহারের ফলে জ্বালানি ও মেরামত বাবদ সরকারের বড় ধরনের ব্যয় হচ্ছে।
জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব কমিটির বৈঠকে উত্থাপিত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন অগ্রগতিসংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
এর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একই কমিটির বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কয়েকটি প্রকল্পের কাজ পাঁচ বছর আগে শেষ হলেও সেসব প্রকল্পে ব্যবহার করা ২৬২টি গাড়ি ও ৬০৩টি মোটরসাইকেলের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। প্রকল্প শেষ হলেও নিয়ম অনুযায়ী গাড়িগুলো পরিবহন পুলে জমা হয়নি। এমনকি এ বিষয়ে কোনো তথ্য না পাওয়ায় হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (সিএজি) কার্যালয় অডিট আপত্তি দিয়েছে। ওই অডিট আপত্তি নিয়ে আলোচনা শেষে সংসদীয় কমিটি ওই অনিয়ম তদন্তে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবহন পুল ও অডিট অফিসের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সুপারিশ করে।
পরে গঠিত তদন্ত কমিটিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, সমাপ্ত প্রকল্পের ২৬২টি গাড়ি ও ৬০৩টি মোটর সাইকেল সংরক্ষিত আছে। ২৬২টি গাড়ির মধ্যে ১৭৯টি সচল ও ৮২টি অচল। একটি গাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। আর ৬০৩টি মোটরসাইকেলের মধ্যে ১২৭টি অকেজো।
এ বিষয়ে সরকারি হিসাব কমিটির সভাপতি ডা. রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, তদন্ত কমিটির মাধ্যমে গাড়িগুলোর অবস্থান জানা গেছে। এ বিষয়ে সিএজি কার্যালয়ের পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংসদীয় কমিটি সিএজির নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও এসংক্রান্ত নিরীক্ষা আপত্তি নিষ্পত্তির সুপারিশ করেছে।
Leave a Reply