বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক জগলুল আহেমদ চৌধূরীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, উপমহাদেশ সম্পর্কে জগলুল আহেমদের গভীর জ্ঞান ছিল। সবসময় সঠিক তথ্য তুলে ধরতেন তিনি। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়েও খুব ভালো কথা বলতে পারতেন।
গতকাল জগলুল আহেমদ চৌধূরীর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমিও তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। দেশের নতুন সাংবাদিকদেরও তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সাংবাদিক জগলুল চৌধূরী ছিল আমার ছোট। ছোট হয়ে আমাদের আগে চলে যাবে, তা ভাবিনি। জগলুলের মৃত্যু হয়েছে বাস থেকে পড়ে। আমাদের দেশে এ ধরনের মৃত্যু থেকে বাঁচার জন্য দুটি বিষয়ে কাজ করতে হবে। প্রথমত, চলন্ত বাস থেকে কেউ যেন না নামতে পারে সেজন্য আইন তৈরি করা। দ্বিতীয়ত, জগলুলের মতো ভালো সাংবাদিকতা শেখানোর দিকে নজর দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাংবাদিক হারুন হাবিব, সাংবাদিক মনোজ রায়, সাংবাদিক শহীদুদ্দীন চৌধূরীসহ অন্যরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ট্রাস্টের মহাসচিব ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
জগলুল চৌধূরীকে স্মরণ করে কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের সব সম্পর্কগুলোর যোগসূত্র ছিল জগ্লূল। তার টকশোগুলোয় আমরা বিদেশ সম্পর্কে নানা রকম তথ্য পেতাম। ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাংবাদিক হয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সাক্ষাত্কার নিয়েছিলেন জগলুল।
Leave a Reply