লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে পাথরভর্তি তিনটি ট্রাকে করে অবৈধভাবে ভারতীয় শাড়ি, থ্রিপিস, আন্ডারগার্মেন্ট ও চশমাসহ বিভিন্ন পণ্য আনা হয়। গত সোমবার রাতে স্থলবন্দরের কলাবাগান ও বুড়িমারী বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালিয়ে ট্রাকসহ এসব পণ্য জব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। কিন্তু সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান ভারতীয় চালকরা। তারা কোথায় আত্মগোপন করেছেন, সে হিসাব এখনো মেলাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে জব্দ ট্রাক তিনটি রংপুর কাস্টমসে জমা দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিজিবি-৬১ ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী স্থলবন্দর কোম্পানি কমান্ডার মো. বাইরোন আলী।
বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ডব্লিউবি-৮৫-৪৮৭৭ নম্বর ট্রাকের চালক বিপুল রায়, ডব্লিউবি৬১এ-০৪৯৭ নম্বরের চালক মো. মিঠুন ও ডব্লিউবি-৫৯-৭৩৭৮ নম্বরের ট্রাকচালক মো. মজহার আলী। তারা ভুটান ও ভারত থেকে পাথর নিয়ে গত সোমবার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল। পাথরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আরফান ট্রেডার্স, মেসার্স এমএ সাঈদ ট্রেডার্স ও মেসার্স নওরিন ট্রেডলিংক। তাদের কাছে পাথর পাঠিয়েছে ভারতীয় রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিশ্বজিৎ রায়, মেসার্স হাসিবুল এমডিসহ আরো একটি প্রতিষ্ঠান।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আরফান ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা পাথর নিয়ে আসা ট্রাকের চালক মো. মিঠুন বুড়িমারীতেই আছেন। তিনি বিজিবি বা কাস্টমসের লোকজনের সামনে যেতে ভয় পাচ্ছেন। আমরাও বুঝতে পারছি না যে এখন বিষয়টি নিয়ে কোথায় কী করতে হবে।’ বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমসের উপকমিশনার (ডিসি) মো. বিল্লাল হোসেন অংশীজনদের সঙ্গে এ বিষয়ে গতকাল জরুরি সভা করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ট্রাকভর্তি পাথরের ভেতরে করে কীভাবে কাপড় নিয়ে আসা হয়েছে, তা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আমরাও খোঁজখবর নিচ্ছি।’
Leave a Reply