সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদের সময় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে কোনো বাধা নেই। শুধু পদ্মা সেতুতে চালানো যাবে না। এ ছাড়া সবখানেই মোটরসাইকেল চালানো যাবে।
গতকাল রবিবার রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে এক মতবিনিময়সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে সড়কপথে যাত্রীদের যাতায়াত নিরাপদ করতে এই সভা হয়।
সভায় মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলবে না, এটি কি আমরা বলেছি? শুধু পদ্মা সেতু বাদে সব মহাসড়কেই মোটরসাইকেল চলবে।’
এবারের ঈদ যাত্রা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক বিবৃতিতে বলেছে, ঈদে ঢাকা থেকে এক কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। এ ছাড়া এক জেলা থেকে অন্য জেলায় আরো প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ ঈদে বাড়ি যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মোটরসাইকেলে ঈদ যাত্রার সুযোগ দিলে রাজধানীর পাঁচ থেকে ছয় লাখ বাইকার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে পারে। এতে ঈদযাত্রা খানিকটা স্বস্তিদায়ক হলেও সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বহুলাংশে বেড়ে যাবে।
গত ঈদের আগে ও পরে মোট সাত দিন মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না—এমন নির্দেশনা দিয়েছিল সড়ক বিভাগ। নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ঈদুল আজহার আগের তিন দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরে তিন দিন—এই সাত দিন এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মোটরসাইকেল চলাচল করা যাবে না। তাতে আরো বলা হয়েছিল, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল শুধু রাজধানী ঢাকাসহ অনুমোদিত এলাকায় চলতে পারবে। এ ছাড়া এক জেলার নিবন্ধিত মোটরসাইকেল অন্য জেলায় চালানো যাবে না। কিন্তু এবার মোটরসাইকেল চলাচলে কোনো বিধি-নিষেধ থাকছে না।
গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরদিন ২৬ জুন যান চলাচলের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়। পরদিন এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ জুন ২০২২ সকাল ৬টা থেকে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেয়নি সরকার।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাব বলছে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশে নিবন্ধিত মোটরযান রয়েছে ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৯১৭টি। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৪০ লাখ ৯০ হাজার ১৪৩।
Leave a Reply