চীনে শ্রমিক দিবসের ছুটি চলবে ২৯ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত। পাঁচদিনের এ ছুটিকে কেন্দ্র করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে চীনের পর্যটন খাত। খবর সিজিটিএন।
কয়েক বছরের করোনার ধাক্কা কাটিয়ে চলতি বছরে শ্রমিক দিবসের ছুটির মৌসুম বেশ চাঙ্গা হতে যাচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে চীনের পর্যটন খাত ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করছেন চায়না ট্যুরিজম একাডেমির প্রেসিডেন্ট দাই বিন।
চীনের অভ্যন্তরীণ পর্যটন খাত ঘুরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি বৈশ্বিক পর্যটন খাতেও এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
করোনা বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় চীনা পর্যটকদের জন্য খুলছে প্রায় সব দেশের সীমান্ত। বৈশ্বিক পর্যটনে চীনা পর্যটকরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছেন। জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রিত সংস্থা ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশনের উপাত্তে দেখা গেছে, ২০১৫-১৯ নাগাদ বিশ্ব পর্যটনে চীনা পর্যটকদের বার্ষিক গড় অবদান ছিল ২৬ হাজার কোটি ডলার।
চীনা পর্যটকদের ৬৬ শতাংশই যাচ্ছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, ম্যাকাও ও তাইওয়ানের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় গন্তব্যে। গত ফেব্রুয়ারিতে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো চীনা পর্যটকদের স্বাগত জানায় আসিয়ান ট্যুরিজম ফোরামে।
চীনা পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে পছন্দের একটি গন্তব্য থাইল্যান্ড। এছাড়া থাইল্যান্ডের অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের একটি চীনা পর্যটক। থাই জিডিপিতে চীনা পর্যটকদের ভূমিকা এক-পঞ্চমাংশ। করোনা-পূর্ব ২০১৯ সালে চার কোটিরও বেশি বিদেশী পর্যটক পেয়েছে থাইল্যান্ড। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই ছিল চীনা।
চীনের পর্যটন খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু বৈশ্বিক পর্যটনই নয়, স্থানীয় পর্যটন খাতও চাঙ্গা থাকবে ছুটির মৌসুমে। ২৭ এপ্রিল থেকে ৪ মের মধ্যে চীনের রেলওয়ে পরিষেবা ব্যবহার করে ১২ কোটি সফর করবে চীনা পর্যটকরা। ২৯ এপ্রিল ১১ হাজার ৮৭৩টি ট্রেনে ১ কোটি ৯৫ লাখ ট্রিপের আশা করছে চায়না রেলওয়ে।
Leave a Reply