1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রী পরিবহন তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বিশ্বখ্যাত মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রয়েল এনফিল্ড খুব শিগগিরই বাজারে আসছে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী এমটি কনসার্টো জাহাজে বাংলাদেশী নাবিকের মৃত্যুর তদন্ত দাবি

জাহাজের দামে আদা কিনিতে হচ্ছে এখন

এহ্‌সান মাহমুদ
  • আপডেট : বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩

বাংলা ভাষায় একটি প্রবাদ চালু– ‘আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর’। বড় ব্যাপার বা বিষয়ে তুচ্ছ লোকের মাথা ঘামানো বোঝাতে এটি ব্যবহার করা হয়। প্রবাদটি সম্প্রতি আবার সামনে আসছে। কবি ইমতিয়াজ মাহমুদ তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন– ‘আদার ব্যাপারী বাজারে গিয়া জাহাজের দামে আদা খরিদ করিলেন।’ আমাদের এই সময়ের একজন জনপ্রিয় কবির ছোট্ট, তির্যক এবং ইঙ্গিতপূর্ণ বাক্যটির দিকে আপাতত মনোযোগ দেওয়া যাক।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেল, সম্প্রতি আদার দাম বেড়েছে। মাত্র ১ মাস আগে বাজারে যে চীনা আদার কেজি ছিল ২২০ টাকা, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। তাই দেখা যাচ্ছে, আদার ব্যাপারীকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার সুযোগ নেই। রসনার স্বাদ বাড়াতে ব্যবহৃত এই মসলাটি মূলত আমদানিনির্ভর। তাই এই পণ্যের দাম নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় না। তবে কেবল আমদানির ওপর নির্ভরতার কারণেই যে আদার দাম এই স্তরে পৌঁছেছে– এমন দাবি করা যাবে না। প্রকাশিত সংবাদের দিকে তাকালে তা আরও পরিষ্কার হবে। যদিও চীন, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত; পাশাপাশি দেশি আদার দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকারও বেশি। তাই আমদানিনির্ভর বা আন্তর্জাতিক কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি– এমন সরল দাবি করা যাবে না।
যদিও ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, বাজারে এই পণ্যটির সরবরাহ এখন কম। অন্যান্য বছরে স্থানীয় পর্যায়ে যে পরিমাণ আদা উৎপাদিত হয়, সেটাও এবার কমেছে। এসব কারণে দামে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা।
তবে আমাদের দেশে যে আদা আমদানি হয়, সেখানে প্রায় ৫০ শতাংশই চীনা এবং বাকিগুলো অন্যান্য দেশের। দেশে চীনা আদার চাহিদা বেশি। কয়েক দিন ধরেই চীনের আদা আসছে না, তাই চীনা আদা বাজারে নেই বললেই চলে। দেশের বাজার দখল করে রাখা ও বিপুল চাহিদা তৈরি হওয়া চীনা আদা হঠাৎ না আসার কারণ কী? বাজারে যে খুচরা ব্যবসায়ী কিংবা ভোক্তা পর্যায়ের গ্রাহক, তাদের জানার কথা না– কেন চীনা আদা আসা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল। যদি দেশের কোনো ভোক্তা এখন জানতে চান, চীনা আদা আসা বন্ধ হলো কেন, তাহলে কি সেটি আমাদেরকে সেই বহু ব্যবহৃত প্রবাদের কাছে নিয়ে যাবে? কিন্তু এখন অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর নেওয়ার হেতু তৈরি হতে পারে বৈকি!
সে যা-ই হোক, এ রকম নজিরবিহীনভাবে আদার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এখনই আমাদের কর্তাদের ভাবতে হবে। নইলে আসছে কোরবানির ঈদে আদার যে বিপুল চাহিদা তৈরি হবে, তা সামাল দিতে গিয়ে তখন নতুন প্রবাদবাক্য তৈরি হতে পারে। কে না জানে, প্রয়োজনেই নতুন কিছু সৃষ্টি হয়! খুব আশঙ্কা নিয়ে এমন একটি কথা এখনই লিপিবদ্ধ করে রাখতে চাই। আদার মূল্যবৃদ্ধি এই গতিতে অব্যাহত থাকলে আগামী কোরবানির ঈদের সময়ে মানুষ বলবে– গরু-ছাগল তো কেনা গেল, আদা কেনার উপায় কী! কিংবা গরু বেচে আদা কিনলাম লিখে কোনো রসিকজন মন্তব্য করলে আর অবাক হওয়ার উপায় থাকবে না।
আদা চাষে মানুষের কেন আগ্রহ কম– এমন উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, আদা চাষে সময় লাগে ৩০০ থেকে ৩১০ দিন। একই সময়ে অন্য ফসলের দু্ইটি চাষ করা যায়। তাই মানুষ আদা চাষে কিছুটা নিরুৎসাহিত হচ্ছে। আদা চাষে কীভাবে উৎসাহিত করা যায় এবং আমদানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনা যায়, আপাতত এটুকু ভেবে দেখার অনুরোধ আমরা করতে পারি। চীন কিংবা অন্য কোনো রাষ্ট্র থেকে কেন আদা আমদানি করা যাচ্ছে না– এই প্রশ্নটি দেশের কর্তাদের কাছে আদার ব্যাপারীর প্রশ্নের মতো মনে হতে পারে। তাই তা করা থেকে আপাতত বিরত থাকলাম। উৎস : সমকাল।
এহ্‌সান মাহমুদ : সহসম্পাদক, সমকাল।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT