অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ কমিয়ে এনে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের লক্ষ্যে বাড়ানো হচ্ছে ভ্রমণ কর। এর মাধ্যমে কৃচ্ছ্রসাধন অভ্যাস আনা এবং রাজস্ব যোগানের নতুন খাত তৈরি হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনায় ভ্রমণ করের এই বিষয়ে এই প্রস্তাব দেন।
ভ্রমণ কর হিসেবে আকাশ পথে দেশের বাইরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬ হাজার থেকে সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা, স্থল পথে দেশের বাইরে যেতে ১ হাজার টাকা, এবং জলপথে দেশের বাইরে যেতে ১ হাজার টাকা এবং দেশের ভিতরে আকাশ পথে ভ্রমণে ২শ টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ৯ ধরণের যাত্রীরা অব্যহতি পাচ্ছে ভ্রমণ কর থেকে।
বর্তমানে স্থলপথে বিদেশ গমনে ৫০০ টাকা ও নৌপথে ৮০০ টাকা কর বহাল রয়েছে, এটি বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। আকাশপথে সার্কভুক্ত দেশ ভ্রমণে এক হাজার ২০০ টাকা কর ছিল, এটি বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা করা হয়েছে। অন্য দেশ ভ্রমণে তিন হাজার টাকা কর ছিল, এটি চার হাজার টাকা করা হয়েছে। আকাশ পথে উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, চীন, জাপান, হংকং, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও তাইওয়ান যাওয়ার ক্ষেত্রে যাত্রীপ্রতি ছয় হাজার টাকা কর দিতে হবে। বর্তমানে এই করের পরিমাণ ২ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া দেশগুলোর বাইরে আকাশ পথে অন্য কোনো দেশে গেলে ৪ হাজার টাকা কর আদায়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা এখন ১ হাজার ৮০০ টাকা।
Leave a Reply