ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথটির ৩২১ কিলোমিটার পুরোটাই এখন ডাবল লাইন। এতে করে ক্রসিংয়ের জন্য আর ট্রেন থামাতে হবে না। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে যাতায়াতে সময় কম লাগবে। আগামী বৃহস্পতিবার বেলা সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি আখাউড়া-লাকসাম রেল সেকশনের এই ডাবললাইন উদ্বোধন করবেন।
৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ আখাউড়া-লাকসাম সেকশন ডুয়েলগেজ ডাবললাইন উন্নীতকরণ প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীন বলেছেন, ২০ জুলাই থেকে পুরো সেকশনে উভয় লাইনে ট্রেন চলতে পারবে। সব স্টেশন এবং সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ফিনিশিংয়ের কিছু কাজ বাকি রয়েছে, সেগুলো উদ্বোধনের পর করা হবে। এসব কাজের জন্য ট্রেন চলাচল ব্যহত হবে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ১২৪ কিলোমিটার ব্রিটিশ আমলে ডাবললাইনে উন্নীত হয়। লাকসাম থেকে চিনকি আস্তানা পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার ডাবললাইন ২০১৫ সালের এপ্রিলে এবং পরের বছরে ফেব্রুয়ারিতে টঙ্গী থেকে ভৈরববাজার পর্যন্ত ৬৪ কিলোমিটার ডাবললাইন চালু হয়েছে।
আখাউড়া-লাকসাম অংশ ডাবললাইনে উন্নীত করতে ২০১৪ সালে ৬ হাজার ৫০৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করে সরকার। ২০২০ সালে কাজ সমাপ্তের লক্ষ্য ছিল। তবে দুই দফা মেয়াদ বাড়লেও প্রকল্প ব্যয় কমছে।
সংশোধিত ডিপিপিতে (আরডিপিপি) প্রকল্প ব্যয় ৫ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা। খরচ ৯২১ কোটি টাকা কমতে যাচ্ছে।
Leave a Reply