পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ বলেছেন, গাড়িচালকদের অপ্রয়োজনে হর্ন বাজানোর অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। শব্দদূষণ বিষয়ে প্রচলিত বিধি-নিষেধ মেনে দায়িত্ব পালন করতে হবে। শব্দদূষণ রোধে পরিবহন চালক/শ্রমিক, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, কারখানা ও নির্মাণ শ্রমিক, সাংবাদিক, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, ইমাম, শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিগণকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং গাড়িচালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারহিনা আহমেদ বলেন, ‘শব্দদূষণ একটি নীরব ঘাতক। শব্দদূষণের ফলে ঘুমের ব্যাঘাত, ডিপ্রেশন এবং মানসিক অসুস্থতা, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রেস, শ্রবণ প্রতিবন্ধিতা এবং নবজাতক প্রতিবন্ধী হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘শব্দদূষণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে পাঠ্য বইয়ে এটা অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেউ যাতে অপ্রয়োজনে শব্দদূষণ করতে না পারে সে লক্ষ্যে প্রচলিত বিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ডক্টর ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে বক্তৃতা করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (ইএনটি) ডা. হুসনে কমর ওসমানী এবং শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দা মাসুমা খানম প্রমুখ। কর্মশালায় বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ ও গাড়িচালকগণ বক্তব্য দেন।

ঈ
Leave a Reply