রাজধানীর গাড়িচালকদের ৮১ শতাংশই চোখের সমস্যায় ভুগছে। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানিয়েছেন, ২৮৯ চালকের চোখ পরীক্ষায় ১৬৪ জনের দৃষ্টি সমস্যা পাওয়া গেছে। কন্ট্যাক্ট (খালি চোখে দেখতে অস্বস্তিবোধ) সমস্যা পাওয়া গেছে আটজনের। চোখের অন্যান্য সমস্যায় ভুগছেন ৫৯ চালক।
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস সামনে রেখে মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীর বিআরটিএ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান। ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘আইন মেনে সড়কে চলি, স্মাট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’।
নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানিয়েছেন, বাস টার্মিনাল ও বিআরটিএর পেশাদার চালকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে চোখ ছাড়াও ২৪৯ চালকের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায়, ৪৭ জন রক্তচাপ সমস্যায় ভুগছেন। ডায়াবেটিসে ভুগছেন ৬৯ জন। ধূমপানজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ১০৯ জন। আর চোখসহ স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান স্বীকার করেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির অন্যতম কারণ। তিনি জানান, ৫৭ লাখ নিবন্ধিত যানবাহনের ৫ লাখ মেয়াদোত্তীর্ণ এবং ফিটনেস নেই। আনুমানিক এর ৩০ শতাংশ সড়কে চলে না।
সড়কে দুর্ঘটনা এবং মৃত্যু বাড়ছে– সাংবাদিকদের এ তথ্যে নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, দেশে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ জন সড়কে নিহত হচ্ছে। এমনকি আমরাও নিরাপদ নই। সড়ক নিরাপত্তায় সবাইকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।
দুর্ঘটনা রোধে আইন প্রয়োগের সামাজিক আন্দোলনে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বিআরটিএ। সংস্থার চেয়ারম্যান বলেন, বেপরোয়া গতি রোধে ড্রাইভিং লাইসেন্সে দোষসূচক পয়েন্ট কর্তন শুরু হয়েছে। শুধু ঢাকা শহরে ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়োগে ১০০ ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন; রয়েছে মাত্র ৫-৬ জন। তাই সামাজিক আন্দোলন গড়তে না পারলে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
Leave a Reply