দুর্নীতিগ্রস্ত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে থাকবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শফিউল আজিম। মঙ্গলবার বিমান সিকিউরিটি সপ্তাহে নতুন লোগো উন্মোচন করে এ ঘোষণা দেন তিনি। সংস্থাটির দাবি, যাত্রী ও তাদের মালামালের নিরাপত্তায় বিমান বাংলাদেশ হবে ‘নম্বর ওয়ান’ এয়ারলাইন্স। দুর্নীতিগ্রস্তদের সিন্ডিকেটের বিষয় স্বীকার করে তাদের বিরুদ্ধে কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান বিমান এমডি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, যাত্রীদের মালামাল চুরিসহ একাধিব অভিযোগ রয়েছে।
সবশেষ শিশির সরকার নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশির শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দর থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ চুরির অভিযোগ আসে। সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে আসা ঐ যাত্রীর অভিযোগ ছিল, তার হাত থেকে স্বর্ণালঙ্কার খুলে রেখে দিয়েছে কর্মীরা। পরে সেই স্বর্ণালঙ্কার আর ফিরিয়ে দেয়া হয়নি তাকে। প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও শিশির সরকারের অভিযোগের সুরাহা হয়নি এখনও। এরইমধ্যে নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন শুরু করছে বিমান।
সিকিউরিটির নতুন পোশাক আর মোড়ক উন্মোচন করে তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের নিজেদের লোকজনই এর সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে। কোথায় কার গাফিলতি আছে, কোথায় কে জড়িত তা আশা করি সামনে আসবে।
যাত্রী হয়রানি, মালামাল খোয়া যাওয়াসহ দীর্ঘদিনের নানান অভিযোগ প্রশ্নে শফিউল আজিম বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ডে আমার হাতে যদি একজনও ধরা পড়ে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনে আমি কবর পর্যন্ত দৌঁড়াবো। এই ধরনের কোনো সাহস যাতে বিমানের কেউ না করে সে বিষয়েও সতর্ক করেন তিনি।
বলা হচ্ছে, লাগেজ ব্যবস্থাপনায় যারা কাজ করবেন বডি ক্যামেরার মাধ্যমে তাদের নজরদারিতে রাখা হবে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়েও যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক ডিভাইস।
যাত্রীর ব্যাগ থেকে স্বর্ণ চুরি, ভল্ট থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া স্বর্ণ, কখনও ব্যাগ লাগেজই খোয়া চলে যাওয়া। তাছাড়া ১৪ স্তরের নিরাপত্তা ভেঙে এক শিশুর ফ্লাইটে উঠে যাওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে। বলা হচ্ছে, এই স্মার্ট এয়ারলাইন্স অ্যান্ড স্মার্ট সিকিউরিটির আওতায় এসব সমস্যা মিটে যাবে।
বিমান এমডির দাবি, এগুলোর বাস্তবায়ন হলে আস্থা আর বিশ্বাস অর্জন করতে পারবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এখন দেখার অপেক্ষা, বাস্তবে কতটা আস্থা অর্জন করতে পারে সংস্থাটি।
Leave a Reply