রেলপথে গত দুই বছরে ১৭০টি দুর্ঘটনায় ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে রেলওয়ে আইন-১৮৯০ হালনাগাদ করে খসড়া রেলওয়ে আইন-২০২৪ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রণীত এসংক্রান্ত খসড়া আইনে ট্রেনের চেইন টানার শাস্তি বাড়ানোসহ অনিয়ম বন্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।’
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে জিল্লুুল হাকিম জানান, বিনা টিকিটে ট্রেন ও ট্রেনের ছাদে ওঠা বন্ধ করার জন্য রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে বেড়া নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে টিকিটবিহীন যাত্রীর প্রবেশ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। ভ্রমণরত যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সমন্বয়ে নিয়মিত টিকিট চেকিং কর্মসূচি নেওয়া ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্টেশন প্ল্যাটফরম ও ট্রেনে মোবাইল কোর্ট পরিচালন করা হচ্ছে।
এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে বিনা টিকিটের যাত্রী ও ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে। রেলওয়েতে চলন্ত ট্রেনের কোচের ভেতরে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করার জন্য এটেনডেন্ট, বিনা টিকিটে যাত্রীসেবা প্রতিরোধে টিটিই এবং ট্রেন পরিচালনায় গার্ড নিয়োজিত থাকেন। ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ প্রতিরোধে বিভিন্ন ট্রেনে নিয়মিতভাবে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কোনো সময় ট্রেনের ছাদে অবৈধ যাত্রী পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে জিআরপি ও আরএনবি সদস্যরা তাঁদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রেনে চেইন টেনে এবং হোস পাইপ বিচ্ছিন্ন করে ট্রেন থামানোর ঘটনা বর্তমানে আর দেখা যায় না। চোরাকারবারিরা চেইন টেনে মাঝপথে ট্রেন থামিয়ে পণ্য উঠানো ও নামানোর ঘটনা বর্তমানে দেখা যায়নি। এসংক্রান্ত ঘটনা যেন না ঘটে, সে জন্য রেলওয়ে পুলিশ, বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং সভার মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করার কাজ অব্যাহত রয়েছে।’
Leave a Reply