বিদেশি এয়ারলাইন্সের আয় দেশের বাইরে নেওয়া সহজ করল বাংলাদেশ ব্যাংক। টিকিট বিক্রি এবং কার্গো পরিবহন বাবদ যে আয় হবে তা থেকে প্রয়োজনীয় ব্যয় সমন্বয়ের পর বাকি অর্থ সহজে বিদেশে নেওয়া যাবে। তবে টিকিট রিফান্ড বাবদ ১০ শতাংশ অর্থ সঞ্চিত রাখতে হবে। আগে জটিল প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শুধু বিমান উড্ডয়নের পর অর্থ বাইরে পাঠানো যেত। বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।
এই সার্কুলারের মাধ্যমে টিকিট বিক্রির সময় দেশি-বিদেশি সব এয়ারলাইন্সের যাত্রীদের থেকে ঘোষণাপত্র (পি ফরম) নেওয়ার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রচলিত জটিল বিবরণীর পরিবর্তে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স টিকিট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) সদস্য বিমানগুলোর তাদের নিজস্ব বিবরণী গ্রহণযোগ্য হবে। একইসঙ্গে দেশের বাইরে অর্থ পাঠানোর সময় শুধু ব্যাংক বিবরণী, কর পরিশোধ-সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিলে চলবে। ব্যয় বিবরণীর সঙ্গে এখন থেকে আর কোনো ধরনের বিল বা ভাউচার দাখিলের প্রয়োজন হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্নিষ্ট এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, বৈদেশিক লেনদেন ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত সহজ ও সময়োপযোগী করা হচ্ছে। এর আগে গত জুলাই মাসে বিদেশি কোম্পানির লভ্যাংশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ঘটনা-উত্তর যাচাই-বাছাইয়ের নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
২০২৩ সালে পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে ওসমানী বিমানবন্দর : ২৫৬৮ কোটি টাকার দুই প্রকল্প চলছে
Leave a Reply