মার্কিন বিমান পরিবহন সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স আগামী অক্টোবরের মধ্যে ১৬ হাজার ৩৭০ জন কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। এরমধ্যে পাইলট রয়েছে ২ হাজার ৮৫০ জন এবং ফ্লাইট এটেডেন্ট ৬ হাজার ৯২০ জন। বাকিরা অন্যান্য ইউনিটের কর্মী।
সিএনএনের প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে বলা হচ্ছে, এতে করে বিমান সংস্থাটির যতজন কর্মী ছিলেন তাদের ২০ শতাংশ চাকরি হারাবেন। শুধু ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স নয় করোনা মহামারির কারণে বেশিরভাগ বিমান পরিবহন সংস্থা কর্মী ছাঁটাইয়ের পথ বেঁছে নিয়েছে। এতে খাতটির কর্মীরা পড়েছে সংকটে।
গত মাসে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স ৩৬ হাজার কর্মী চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে ঘোষণা দেয়। এর আগে ১৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই ছাড়াও মার্চ থেকে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন আমেরিকান এয়ারলাইন্সের প্রায় ১২ হাজার ৫০০ কর্মী। এ ছাড়া অক্টোবরের মধ্যে কোম্পানিটির আরও ১১ হাজার কর্মী স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়বেন। ফলে করোনাকালে আমেরিকান এয়ারলাইন্সে চাকরি হারানো কর্মীর সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৪৩ হাজার। এছাড়া জার্মানির লুফথানসাও ২২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে।
করোনায় যাত্রী সংকটের কারণে বিশ্বজুড়ে বিমান পরিবহন সংস্থাগুলো চলতি বছর ৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার লোকসানের মুখে পড়বে পড়বে সতর্কতা জারির মধ্যে এমন ঘোষণা আসছে একের পর এক। মহামারির কারণে ৩০ সেপ্টেম্বরের পূর্বে যাতে কোনো বিমান সংস্থাকে কর্মী ছাঁটাই করতে না হয় এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র দেশটির এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে।
অবশ্য এয়ারলাইন্সগুলো সরকারি এই অর্থ সহায়তার মেয়াদ আরও বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে আসছে। উল্লিখিত এয়ারলাইন্সগুলো ছাড়াও বিশ্বের প্রায় বেশিরভাগ বিমান পরিবহন সংস্থা করোনার কারণ দেখিয়ে বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিচ্ছে। প্রতিনিয়ত এই তালিকাটা দীর্ঘ হচ্ছে।
Leave a Reply