পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ড্রেজিং প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সাড়ে ১০ মিটার ড্রাফট বিশিষ্ট বাণিজ্যিক জাহাজ বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে।
এছাড়া বছরে ২০ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা বন্দরের নিজস্ব জেটিতে স্থানান্তর এবং ৩ হাজার টিইইউ’সর (বিশ ফুট দৈর্ঘ্যরে) কন্টেইনারবাহি জাহাজ ও ৪০ হাজার টনের পণ্যবাহি বাল্ক কার্গো ক্যারিয়ার জাহাজ সরাসরি বন্দরে আগমন করতে সক্ষম হবে। বিনিয়োগকারিগণ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শিল্প কারখানা স্থাপনে আগ্রহি হবেন।
আজ বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের মূল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং প্রকল্প সংক্রান্ত বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর হুমায়ুন কল্লোল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রাবনাবাদ চ্যানেলের দৈর্ঘ্য ৭৫ কিলোমিটার, প্রস্থ ১০০-১২৫ মিটার। পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে বেলজিয়াম ভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল এর মধ্যে ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আরো উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা বন্দরের উদ্বোধন করেন। ২০১৬ সালের আগস্টে এর অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়। গতকাল (২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত পায়রা বন্দরে ১০০টি জাহাজ এসেছে। ০৩ ডিসেম্বর ২০২০
Leave a Reply