দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও ট্রেন উদ্ধারে কাজ চলছে
জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল রেলগেটে ট্রেনের ধাক্কায় একটি বাসের ১২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। আহতদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক খন্দকার ছানাউল হক এসব তথ্য জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পুরানাপৈল রেলগেটে সকালে রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন বাসটিকে ধাক্কা দেয়। বাসটিকে দুমড়েমুচড়ে ট্রেনটি রেললাইনের ওপর দিয়ে প্রায় ৫শ’ মিটার দূরে নিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই ১০ জন নিহত হন। আহত হন ৫ জন। আহতদের প্রথমে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে নেওয়ার পর বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে ৩ জন শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
নিহতদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন পাঁচবিবি উপজেলার আটুল গ্রামের আলতাফ হোসেনে ছেলে সরোয়ার হোসেন (৩৫) এবং তার ছোট ভাই আরিফুজ্জামান রাব্বি (২৫)।
জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম জানান, পুরানাপৈল রেলগেটের গেটম্যান তার দায়িত্ব পালন না করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের দাফনসহ সার্বিক খরচ বহন করা হবে।
দুর্ঘটনার পর থেকে পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করার জন্য উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। চেষ্টা চলছে দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও ট্রেন অপসারণের। জেলা প্রশাসক ছাড়াও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবীর, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র রায় এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট।
Leave a Reply