মাতারবাড়ীতে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দরের নবনির্মিত চ্যানেল দিয়ে আগামী ২৯ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো পণ্যভর্তি জাহাজ চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার সিলেগন বন্দর থেকে ভেনাস ট্রায়াম্প জাহাজটি ২২ ডিসেম্বর রওনা দিয়ে বঙ্গোপসাগর অতিক্রম করে চ্যানেলে প্রবেশ করে মাতারবাড়ীর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে ভিড়বে। বঙ্গোপসাগর থেকে জেটি পর্যন্ত এ চ্যানেলের দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ১৪ কিলোমিটার।
জানা গেছে, মাতারবাড়ী অভিমুখী জাহাজে সেখানে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য থাকবে। পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি ২০০৯ সালে তৈরি।
এরপর আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি আরেকটি জাহাজ আসার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চালুর পর সপ্তাহে অন্তত দুটি জাহাজ চ্যানেল দিয়ে আসবে। পরবর্তী সময়ে এর পরিমাণ আরো বাড়বে। এরই মধ্যে জাহাজ ভেড়ানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ চ্যানেল দিয়ে এখন নিয়মিত জাহাজ চলাচল হবে। মাতারবাড়ী পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমা বিস্তৃত থাকায় পোর্ট অব কল ধরা হবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে। অর্থাৎ বন্দরের মাসুল আদায় থেকে সব কিছুই চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে। এ বিষয়ে সমন্বয় করতে গত ২৩ ডিসেম্বর বন্দর ভবনে সভা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই সভায় জাহাজ পরিচালনা ও বিস্তারিত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের হারবার ও মেরিন শাখার সদস্য কমোডর মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, প্রবেশপথে বয়া বসানো থেকে শুরু করে সব কাজই শেষ। কিন্তু জাহাজ ভেড়ানো নিয়ে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে মতভিন্নতাও সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ চাইছিল, প্রথম যাত্রায় বড় আকারের একটি জাহাজ আসুক। অথচ ভেনাস ট্রায়াম্প বেশ ছোট আকারের। বন্দর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো সাড়া প্রদান করেনি।
Leave a Reply