মধ্য আফ্রিকার দ্বীপরাষ্ট্র সাও টোমের কাছাকাছি পণ্যবাহী একটি জাহাজে আক্রমণ করে একজনকে হত্যা করেছে জলদস্যুরা (পাইরেট)। নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা প্রেসিডিয়াম ইন্টারন্যাশনালের তথ্যমতে, গত শনিবার সকালে তুর্কী মালিকানাধীন জাহাজ মোজার্ট সাও টোমের ৯৫ নটিক্যাল মাইল উত্তর-পশ্চিমে অবস্থান করার সময় পাইরেটরা আক্রমণ করে। চার জন অস্ত্রধারী জাহাজে আরোহন করলে ক্রুরা নিারপদ কক্ষে চলে যায়। পাইরেটরা সেই কক্ষ ভেঙ্গে ক্রুদের একজনকে হত্যা করে। পাশাপাশি ১৫ জনকে অপহরণ করে।
জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা বোডেন মেরিটাইম ১৫ জনের অপহরনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। নিহত ব্যাক্তি আজারবাইজানের ইঞ্জিনিয়ার ফারমান ইসমাইলভ। জাহাজের ক্রু এবং নিরাপত্তাকর্মী সূত্রে মেরিটাইম এক্সিকিউটিভ জানিয়েছে, আক্রমণ ছিল খুবই সুসংগঠিত। অস্ত্রের পাশাপাশি পাইরেট দল সম্ভবত বারুদও ব্যবহার করেছে। নিরাপত্ত বিষয়ক সংস্থা অ্যামব্রে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পাইরেটরা জাহাজের ডেক থেকে সরাসরি নিরাপদ কক্ষে প্রবেশ করেছে। তুর্কী মেরিটাইম ডিরেক্টরেট বলছে, জলদস্যূরা দীর্ঘ ছয় ঘন্টা ধরে অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময়ের মধ্যে কোনো আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সেখানে পৌঁছায়নি।
জাহাজে তিন জন ক্রু অবস্থান করছে। তারা জাহাজটিকে গ্যাবনের পোর্ট জেনটিলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, তিন জন ক্রুর মধ্যে একজন পাইরেটদের আক্রমণে আহত হয়েছে। আনাদুলু এক প্রতিবেদনে লিখেছে, পাইরেটদের আক্রমণে জাহাজের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বাকি ক্রুদের পক্ষে জাহাজকে নিরাপদকে বন্দরে নিয়ে আসা কঠিন হবে। আনাদুলুর মতে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান দুইবার জাহাজের কমর্কতার সঙ্গে কথা বলেছেন। জাহাজের অপহৃত ক্রুদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে তুরস্কের সরকার।
গালফ অব গিনিতে জলদস্যূদের উৎপাত বেশ বড় হুমকী হয়ে দেখা দিয়েছে বর্তমান সময়ে। এই এলাকাটি জলদস্যূদের কেন্দ্রভূমি হয়ে উঠেছে। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবারই এখানে পাইরেটদের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। অপরহনের ঘটনাও আছে। আক্রমণগুলি উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল দূরে পরিচালনা করে পাইরেটরা।
Leave a Reply