পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়তে বাড়তে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে ভারতে। আর সেই আবহে অভিনব প্রতিবাদে পথে নামলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ই-স্কুটারে (ইলেকট্রিক স্কুটারে) চেপে কালীঘাটের বাড়ি থেকে নবান্নে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায় মমতা স্কুটারের পেছনে নীল হেলমেট পরে বসে আছেন।
আরো বড় চমক অপেক্ষা করছিল বিকেলের জন্য। বিকেলে নবান্ন থেকে বাড়ি ফেরার সময় নিজেই সেই ই-স্কুটার চালালেন মমতা। দু’পাশে এবং পেছনে যদিও সেই ই-স্কুটার ধরে ছিলেন তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা।
নিজের অফিস থেকে বেরিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মাঝামাঝি পর্যন্ত মমতা ওই ই-স্কুটার চালান। এরপর তা চালান ফিরহাদ হাকিম। পরে নিজের বাসার কাছে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ফের নিজের হাতে নেন স্কুটারের ‘হ্যান্ডল’।
ভারতের অধিকাংশ টিভি চ্যানেলে মমতার স্কুটার চালানোর ছবি সরাসরি দেখানো হয়। তাতে দেখা যাচ্ছিল মমতার স্কুটার চালাতে অসুবিধা হচ্ছে কিন্তু ৬৬ বছর বয়সে অনভ্যস্ত হাতে মমতা যে ভাবে স্কুটার চালালেন, তা চমকে দিয়েছে প্রায় সবাইকে।
মুখ্যমন্ত্রীকে স্কুটার চালিয়ে এগিয়ে আসতে দেখে ভিড় জমে যায় রাস্তার দু’ধারে। থেমে যায় যান চলাচল। মোবাইলে ছবি তুলতে থাকে উৎসাহী জনতা। তৃণমূল নেতারা দাবি করেছেন আজকের ঘটনা প্রমাণ করলো পথে নেমে প্রতিবাদ জানানোর খেলায় মমতার ধারে কাছে কেউ নেই।
তবে ই-স্কুটার চালিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘প্রতিবাদ’কে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, পায়ের তলায় মাটি নেই বুঝে স্কুটারের আসনে বসেছেন মমতা। “নির্বাচনের আগে এই সব নাটুকেপনায় বাংলার মানুষের মন পাওয়া যাবে না,” বলেন উনি।
সিপিএম কংগ্রেসসহ অন্য দলের মুখপাত্ররাও তাঁকে আক্রমণ করে বলেন, নির্বাচনের আগে নাটক করছেন।যদিও বিরোধীরা মমতার স্কুটার চালানো নিয়ে আক্রমণ করেছেন, উনি দমে যেতে রাজি নন। এদিন বিকেল থেকে বেরিয়ে বলেন, কাল থেকে আরও ব্যাপক আন্দোলন হবে।
Leave a Reply