করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলার অংশ হিসেবে দেশের প্রায় সব পর্যটনকেন্দ্র আবারও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়িসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মৌলভীবাজারের পর্যটনকেন্দ্রগুলো দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। পর্যটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে এ নিধেষাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।
সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গতকাল সকালে। পরে রাতে কক্সবাজার সৈকত বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
গত বুধবার বান্দরবান জেলা প্রশাসন এক গণবিজ্ঞপ্তিতে পাহাড়িদের বর্ষবরণ উৎসবের সব আয়োজনও বাতিল করেছে। একই দিন রাতে কুয়াকাটা পৌর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে স্থানীয় প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশ মাইকিং করে সব হোটেল-মোটেল বন্ধসহ পর্যটক আগমনে নিষেধাজ্ঞার কথা জানায়। খাগড়াছড়িতে রাত ১০টার পর জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ও পরিবহন ছাড়া সাধারণের চলাচলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সভা-সমাবেশও বন্ধ থাকবে। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
তবে তড়িঘড়ি এমন ঘোষণা দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেক হোটেল ব্যবসায়ী। তাঁরা জানান, এপ্রিল মাসেও তাঁদের বেশ কিছু বুকিং ছিল। এসব বুকিং বাতিল হওয়ায় তাঁরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।
এর আগে গেল বছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ করা হয়। প্রায় পাঁচ মাস পর সেগুলো খোলা হয়েছিল।
Leave a Reply