স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার গণপরিবহন চালু সম্ভব। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি তেমন থাকবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। শুক্রবার (১৪ মে) ঈদের দিন রাজধানীর মহাখালী টার্মিনালে ঢাকা জেলা বাস-মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে আয়োজিত ধর্মঘট কর্মসূচিতে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এ কথা বলেন।
ঈদের দিন সারাদেশের টার্মিনালগুলোতে ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে। সকালে রাজধানীর মহাখালী টার্মিনালে ঢাকা জেলা বাস-মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিকরা।
এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘স্থাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার গণপরিবহন চালু সম্ভব। ঈদের সময় ফেরিসহ সড়কে আপনারা যে চিত্র দেখেছেন, যদি গণপরিবহন চলতে দেওয়া হতো তাহলে এই অবস্থা সৃষ্টি হতো না। লাখ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুন্দরভাবে যাড়ি যেতে পারতো।’
তিনি বলেন, ‘ঈদে যে লোকগুলো বাড়িতে গেছে, তারা আবার ঢাকায় ফিরে আসবে। আবার একই অবস্থা সৃষ্টি হবে। তখন যদি বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকে তাহলে এই অবস্থার সৃষ্টি হবে না। তাই আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, অনতিবিলম্বে যেন দূর পাল্লার বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।’
এক প্রশ্নের জবাবে এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘এই কর্মসূচি সরকারের বিরুদ্ধে নয়। আজকের কর্মসূচি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। যারা পরামর্শক কমিটিতে রয়েছেন তারাসহ প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার জন্য এই কর্মসূচি।’
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব আরও বলেন, ‘লকডাউন চলবে। আমরা এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি না। আমাদের বক্তব্য একটাই দূরপাল্লার বাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবহন চালানো সম্ভব।’ এ সময় শ্রমিকরা স্লোগান দিয়ে বলেন, ‘পেটে ভাত নাই, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবহন চালাতে চাই।’
ধর্মঘটে শ্রমিকরা বলেন, ‘সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা দিতে হবে। সারাদেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকা মূল্যের ওএমএসের চাল বিতরণ করতে হবে।’
Leave a Reply