করোনাভাইরাস মহামারির বেশিরভাগ সময়ে ফ্লাইট চলাচলে বিধিনিষেধ থাকার পরও ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। গত অর্থবছরে শতাধিক কোটি টাকা মুনাফা করেছে এয়ারলাইন্সটি। এই দুঃসময়ে বিমানের মুনাফা অর্জন সুখবর হলেও বিপিসি ও সিভিল এভিয়েশনের পাওনা বকেয়া রেখে লাভের হিসাব দেখানো যথাযথ নয় বলে মত দিয়েছেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা।
গত বছরের মার্চে দেশে করোনা মহামারি হানা দেওয়ার পর সংকটের শুরু। লকডাউনে টানা দু’মাসের বেশি বন্ধ থাকে সব ধরনের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।
জুনে আকাশপথ উন্মুক্ত হলেও ফ্লাইট চলেছে সীমিত পরিসরে। টিকে থাকার জন্য এ সময় অক্সিজেন হিসেবে কাজ করেছে চাটার্ড ও কার্গো ফ্লাইট। দেশে আটকেপড়া প্রবাসী ও বিদেশি নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন দেশে চার্টাড ফ্লাইট পরিচালনা করে বড় অঙ্কের অর্থ আয় করেছে বিমান। কার্গো পরিবহনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ শতাংশ। সেই সঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কম বেতন নেওয়া এবং যথাসময়ে সরকার ঋণ দেওয়ায় মুনাফা অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে মনে করে কর্তৃপক্ষ।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, গত অর্থবছরে রাজস্ব আয় করেছে ৩ হাজার ৭১০ কোটি টাকা বিমান। এ সময় আমাদের ব্যয় হয়েছে, ৩ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। আমাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে- চাটার্ড ফ্লাইট এবং কার্গো ফ্লাইট।
Leave a Reply