বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) বলেছে, মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক্ক আরোপ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সংগঠনটি গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ডিজেলচালিত ১০ থেকে ১৫ আসনবিশিষ্ট মাইক্রোবাসে সম্পূরক শুল্ক্ক হ্রাসের সুবিধা দেওয়া হলে পেট্রোলচালিত একই নামের, একই আয়তনের ও বহুল ব্যবহূত মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে তা কার্যকর হচ্ছে না। বারভিডা এ জটিলতা নিরসনের জন্য সরকারের কাছে দাবি করেছে।
বারভিডা জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ১৫ আসনবিশিষ্ট যাত্রীবাহী যানকেও মাইক্রোবাস হিসেবে উল্লেখ করে সম্পূরক শুল্ক্ক ৩০ শতাংশ হতে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়। তবে একই আসনক্ষমতার মাইক্রোবাস হওয়া সত্ত্বেও পেট্রোলচালিত মাইক্রোবাসে সম্পূরক শুল্ক্ক ৩০ শতাংশ আরোপ হচ্ছে। বাজেট বক্তৃতায় এ-সংক্রান্ত কোনো নিষেধ, নির্দেশনা বা শর্ত না থাকা সত্ত্বেও এক্ষেত্রে কেন এমন করা হলো- তা বোধগম্য হয়। তা ছাড়া ডিজেলচালিত এসব মাইক্রোবাস খুবই সামান্য সংখ্যায় আমদানি করা হয়।

বারভিডা জানায়, আমাদের দেশে ১০ থেকে ১৫ আসনবিশিষ্ট মাইক্রোবাসের মধ্যে গণপরিবহন হিসেবে পেট্রোলচালিত মাইক্রোবাসই বেশি আমদানি ও ব্যবহার হয়। আমদানি করার পর এ জাতীয় মাইক্রোবাস সিএনজি অথবা এলপিজিতে রূপান্তরিত করে দেশে যাত্রী পরিবহন কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হয়। কাজেই ডিজেলচালিত ১০ থেকে ১৫ আসনবিশিষ্ট মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে বাজেট বক্তৃতার ঘোষণা অনুযায়ী সম্পূরক শুল্ক্ক হ্রাসের সুবিধা দেওয়া হলে পেট্রোলচালিত একই নামের, একই আয়তনের ও বহুল ব্যবহূত মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে তা না দেওয়ার কোনো কারণ দেখা যায় না। সাধারণত ইঞ্জিন ক্ষমতা (সিসি) ভিত্তি বিবেচনায় শুল্ক্ক কর আরোপ করা হয়। আলোচ্য যানের ক্ষেত্রে ফুয়েল নয়, যাত্রীর আসন ক্ষমতাভিত্তিক শুল্ক্ক কর আরোপ করা আছে।
Leave a Reply