তৈরি পোশাকের কনটেইনার সময়মতো জাহাজীকরণের জন্য আরও বেশি শিপিং লাইনার নিয়োগে ক্রেতাদের অনুরোধ জানিয়েছে এ খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ। একই সঙ্গে অফ-ডক মনোনয়নও বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ক্রেতা ও মেইনলাইন অপারেটর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সভায় এ অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিজিএমইএর গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে শিপিং লাইনার ও অফ-ডক নির্ধারিত করে দেওয়ার কারণে পোশাক পণ্যবাহী কনটেইনারগুলোকে অতিরিক্ত ১০ থেকে ১৫ দিন বন্দরে পড়ে থাকতে হচ্ছে। এতে বন্দরে কনটেইনার জট দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, অনেক ক্রেতা বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি ডলারের পণ্য নিলেও মাত্র এক অথবা দুটি শিপিং লাইন মনোনয়ন দেয়। রপ্তানি পণ্যের জাহাজীকরণের জন্য ৪ থেকে ৫টি অফ-ডক অনুমোদন দেয়। এতে জাহাজীকরণে দেরি হয়। রপ্তানি করা পণ্যের মূল্য আসতে দেরি হয়। এসব সমস্যা সমাধানে ক্রেতাদের আরও বেশি শিপিং লাইনার ও অফ-ডক মনোনয়ন দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
সম্প্রতি বিজিএমইএ চট্টগ্রাম বন্দরে সৃষ্ট কনটেইনার জট নিরসনের জন্য এইচঅ্যান্ডএম, এমঅ্যান্ডএসসহ বায়ার্স ফোরামের মাধ্যমে ক্রেতাদের চিঠি দিয়ে পরিস্থিতি অবহিত করে সহযোগিতা চেয়েছে।
গতকালের বৈঠকে বিজিএমইএর সহসভাপতি মিরান আলী, পরিচালক আসিফ আশরাফ, মহিউদ্দিন রুবেল, আবদুল্লাহ হিল রাকিব, সাবেক পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন, বিজিএমইএর পোর্ট অ্যান্ড শিপিংবিষয়ক স্টান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হাসান আবদুল্লাহ, বিকেএমইএর পরিচালক ফজলে শামীম এহসান, এইচঅ্যান্ডএমের আঞ্চলিক কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের কান্ট্রি ম্যানেজার স্বপ্ন ভৌমিক ও শিপিং লাইন মার্কসলাইনের কান্ট্রি ম্যানেজ্যার অংশুমান মিত্র মুস্তাফি উপস্থিত ছিলেন।