আউটারবারে ড্রেজিং হওয়ার পরও পলি জমে গভীরতা কমে যাওয়ায় পশুর চ্যানেলের হিরণ পয়েন্ট এলাকা থেকে মোংলা বন্দরে প্রবেশ করতে পারছে না দুটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ। পাঁচ দিন ধরে হিরণ পয়েন্ট সংলগ্ন আউটারবারে জাহাজ দুটি অবস্থান করছে। সেখানে পণ্য খালাস করে গভীরতা কমিয়ে জাহাজ দুটি ওপরে আনা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্টরা।
তাঁরা জানান, পানামা পতাকাবাহী এমভি সিএস ফিউচার ও টুভ্যালু পতাকাবাহী এমভি পাইওনিয়ার পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরের আউটারবারে (বহির্নোঙর) পাঁচ দিন ধরে অবস্থান করছে। নাব্যতা সংকটের কারণে বিদেশি জাহজ দুটি বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি। জাহাজ দুটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এফএমএস মেরিটাইমের খুলনার ব্যবস্থাপক মো. বিপ্লব ও পার্ক শিপিংয়ের চট্টগ্রামের স্বত্বাধিকারী মো. হুমায়ুন কবীর পাটোয়ারী বলেন, ‘আউটারবারে সাড়ে ৯ মিটার জাহাজ প্রবেশে ড্রেজিং করা হলেও তাঁদের জাহাজ দুটি সাড়ে ৯ মিটারেরও কম। শত শত কোটি টাকা খরচ করে ড্রেজিং করে লাভ হলো কী? আমাদের এখন মোটা অঙ্কের টাকা ডেমারেজ (ক্ষতি) দিয়ে লাইটার পাঠিয়ে পণ্য খালাস করতে হবে সেখান থেকে।’
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মোংলা বন্দরের উদ্দেশ প্রায় ২৩ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে ৯.৩ মিটার গভীরতার পানামা পতাকাবাহী এমভি সিএস ফিউচার জাহাজ হিরণ পয়েন্টের পাইলট স্টেশনে নোঙর করে। এরপর ১ অক্টোবর প্রায় ১১ হাজার মেট্রিক টন সিরামিক পণ্য নিয়ে আসে টুভ্যালু পতাকাবাহী আরেকটি বিদেশি জাহাজ এমভি পাইওনিয়ার ড্রিম। নাব্যতা কম থাকায় জাহাজ দুইটি বন্দরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারেনি।
এ বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, ‘আপনাদের জানা উচিত ড্রেজিং করার পর ওই জায়গায় আবার পলি পড়ে ভরাট হয়। এরপর বর্ষা মৌসুমে আরো খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আউটারবারে ড্রেজিং করতে একটি হোপার ড্রেজার সেখানে পাঠানো হয়েছে।’
Leave a Reply