♦ ১০টি নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি আনবে টাটা
♦ ১৫ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগের ঘোষণা
পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি জ্বালানি খরচ কমিয়ে আনতে বৈদ্যুতিক গাড়িতে সম্ভাবনা দেখছে ভারত। তাই সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি এই খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে কম্পানিগুলোও। ফলে ভোক্তারাও বৈদ্যুতিক গাড়িতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
দিল্লিভিত্তিক থিংক ট্যাংক কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার (সিইইডাব্লিউ) জানায়, গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে অতীতের যেকোনো মাসের চেয়ে বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থবছরে দেশটিতে মোট বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৯০০ ইউনিট, যা ২০ মিলিয়ন গাড়ি বিক্রির ১.৬৬ শতাংশ। বাজার ধরতে এরই মধ্যে অনেক ইলেকট্রিক গাড়ির প্রতিষ্ঠান বড় অঙ্কের বাজি ধরেছে। বিশেষ করে দুই চাকার কম্পানিগুলো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার ইলেকট্রিক গাড়ির উৎপাদন বাড়াতে এরই মধ্যে ৩.৫ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প নিয়েছেন।
সম্প্রতি ভারতের টাটা মোটরস ঘোষণা দিয়েছে তারা ইলেকট্রিক গাড়ির উৎপাদন বাড়াতে আরো ১৫ হাজার কোটি রুপি (দুই বিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ করবে। আগামী চার বছরে ১০টি নতুন গাড়ি আনতে এ অর্থ তারা বিনিয়োগ করবে। টাটা মোটরস যাত্রী পরিবহন ইউনিটের প্রেসিডেন্ট শালেশা চন্দ্র এমন তথ্য জানিয়ে আরো বলেন, ‘আমাদের হাতে বর্তমানে দুটি সবুজ পণ্য আছে, এগুলোর জন্য প্রচুর বুকিং থাকলেও সে অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারছি না, তাই নতুন বিনিয়োগে যাচ্ছি। ১৫ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগে চার বছরে আরো ১০টি সবুজ যান বাজারে আনার লক্ষ্য আছে।’
ভারত বিশ্বের তৃতীয়বৃহৎ কার্বন নির্গমনকারী দেশ। দূষণ কমাতেও ইলেকট্রিক গাড়িতে গুরুত্ব দিচ্ছে। তা ছাড়া সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় দেশটির জ্বালানি আমদানি বিল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪.৭ বিলিয়ন ডলার। বৈদ্যুতিক গাড়িতে জ্বালানি খরচ কমে আসবে।
২০১৭ সালে ভারতের পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গাডকারি ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০৩০ সাল নাগাদ সড়কে শুধু ইলেকট্রিক গাড়িই থাকবে, কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ অসম্ভব। তাই এখন তাঁর পরিকল্পনা ২০৩০ সাল নাগাদ ভারতের সড়কে ৩০ শতাংশ ব্যক্তিগত গাড়ি, ৭০ শতাংশ বাণিজ্যিক গাড়ি, ৪০ শতাংশ বাস এবং ৮০ শতাংশ টু ও থ্রি হুইলার হবে ইলেকট্রিক। সূত্র : বিবিসি, ইকোনমিক টাইমস।
Leave a Reply