বিমান কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে এসেছেন ক্ষুব্ধ পাইলটরা। করোনা মহামারীর মধ্যে বেতন কাটা নিয়ে তারা এ আন্দোলন শুরু করেন। গতকাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি মাহবুবুর রহমান কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন। বেতন কাটায় পাইলটরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সঙ্গে চুক্তির বাইরে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেন। এতে গত সোমবার পাইলট সংকট পরায় বিমানের কয়েকটি ফ্লাইট যথাসময়ে ছেড়ে যায়নি।
বাপার সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, ১৮ মাস করোনার মধ্যে বিমানের পাইলটরা পরিশ্রম করেছেন, এখনো করছেন। এরপরও বেতনের বিরাট অংশ কর্তন করা হয়েছে। বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিষয়টি শুনেছেন এবং আশ্বস্ত করেছেন।
কয়েক দিনের মধ্যেই বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই সভায় পাইলটদের বেতনের বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। বিমান কর্তৃপক্ষ যে আশ্বাস দিয়েছে, তাতে আমরা আশাবাদী। তিনি বলেন, পাইলটরা আশা করছেন, বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সভায় দাবিগুলো মূল্যায়ন করে বেতন সমন্বয়ের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গত বছর করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর বিমান চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল। যাত্রীবাহী ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ কর্মীদের বেতন কমিয়ে আনে। তাতে ২০২০ সালের মে মাস থেকে পাইলটদের বেতন ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কাটা হচ্ছে। জানা গেছে, তিন মাস আগে পাইলটরা এই ধর্মঘটের হুমকি দিলেও বিমান কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলনে যাননি। কিন্তু দুই মাসেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় পাইলটরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাদের সঙ্গে বিমানের যে চুক্তি, তার বাইরে তারা কোনো কাজ করবেন না।
বিমানের একজন পাইলট জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে বর্তমানে ১৫৭ জন পাইলট কাজ করছেন। পাইলটরা যেতে অস্বীকৃতি জানালে ক্রমাগত শিডিউল বিপর্যয় হবে। এর আগেও পাইলটরা চুক্তির বাইরে ফ্লাইটে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর তাতেই এক সপ্তাহে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা লোকসানে পড়ে বিমান। ১৪ জুলাই বৈঠক করে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিমানের পাইলটদের সংগঠন বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)। কিন্তু তাতেও তাদের দাবি না মানার কারণে ফের আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন পাইলটরা। গতকালের আশ্বাসে সেই আন্দোলন থেকে সরে আসেন পাইলটরা।
Leave a Reply