সব জল্পনা শেষে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাটে ডুবে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘটনার দিন থেকে সবার আগ্রহ ছিল কবে উদ্ধার করা হবে ফেরিটি। কারণ উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া জাহাজ হামজা ও রুস্তমের ফেরিটি উদ্ধারের সক্ষমতা নেই। এ পরিস্থিতিতে গতকাল রবিবার দুপুরে আন্ত মন্ত্রণালয়ের সভা শেষে উদ্ধারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিআইডাব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক (উদ্ধার) ফজলুর রহমান। জেনুইন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের সঙ্গে ফেরিটি উদ্ধারের প্রাথমিক চুক্তি হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আজ থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হতে পারে।
জেনুইন এন্টারপ্রাইজের সিইও বদিউল আলম বলেন, ‘তিনটি ২৫০ টন সক্ষমতার উইন্স বার্জ উদ্ধারকাজে অংশ নেবে। প্রয়োজনে যন্ত্রপাতি আরো বাড়ানো হবে। উদ্ধারকাজে অংশ নেবেন ৩০ জন কর্মী। আমাদের সঙ্গে প্রাথমিক যে চুক্তি হয়েছে তাতে আমরা দুই কোটি টাকা খরচ দেখিয়েছি। কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে আমাদের জানাবে।’ তবে গতকাল রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লিখিত কোনো চুক্তি হয়নি।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ শিপব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের একাধিক নেতা জানান, পরিত্যক্ত ভাসমান ফেরি স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রি করলে প্রতি টনের দাম পাওয়া যায় ৫০ হাজার টাকা। আর ডুবে যাওয়া ফেরির দাম আরো কম। রো রো ফেরি শাহ আমানতের ওজন ৪০০ টন। পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ফেরিটি বিক্রি করলে সর্বোচ্চ দুই কোটি টাকা পাওয়া যাবে। ৪০ বছর আগে কেনা ফেরিটি উদ্ধারের পর ফের সংস্কার করে চলাচলের উপযুক্ত করা প্রায় অসম্ভব। এ অবস্থায় দুই কোটি টাকা ব্যয় করে ফেরিটি উদ্ধারের পর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে বোকামি।
ঘাটে যানজট : ফেরিডুবির কারণে ৫ নম্বর ঘাটটি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। গতকাল অন্তত ৬০০ পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় ছিল।
Leave a Reply