প্রথমবারের মতো উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চললো মেট্রোরেল। এর আগে মিরপুর ১০ নম্বর পর্যন্ত মোট ছয়টি স্টেশনে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল করেছে। রবিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১১টার দিকে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলটি আগারগাঁও পর্যন্ত আসে। পরীক্ষমূলকভাবে আগারগাঁও পর্যন্ত আসা ট্রেনটি ৪৫ মিনিট স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকার পর বেলা পৌনে ১২টার দিকে দিয়াবাড়ির উদ্দেশে ফিরতি যাত্রা করে। এসময় আগারগাঁও স্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক। তিনি জানান, ট্রেনটি দিয়াবাড়ির উত্তরা নর্থ স্টেশন থেকে উত্তরা সেন্টার, উত্তরা সাউথ, পল্লবী, মিরপুর ১১ স্টেশন হয়ে মিরপুর-১০ স্টেশন পর্যন্ত ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলে। মিরপুর-১০ পর্যন্ত আগেও ট্রেন চালানো হয়েছে। আজ প্রথমবারের মতো মিরপুর-১০ থেকে শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া স্টেশন হয়ে ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২৫ কিলোমিটার গতিতে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত আসলো মেট্রোরেল।
পরীক্ষামূলক চলাচলে মেট্রোরেলে কোনও যাত্রী চলাচল করছে না। এম এ এন সিদ্দিক বলেন, আগামী বছরের (২০২২ সাল) ১৬ ডিসেম্বর দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। আর এখন থেকে আগামী ১২ মাস চলবে পারফরমেন্স টেস্ট, ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট এবং ট্রায়াল রান। এরই মধ্যে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মতিঝিল পর্যন্ত ভায়াডাক্ট নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাবে। আর সবমিলিয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলবে।
দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশে শুরুতে ১০টি ট্রেন চলবে বলে জানান এম এ এন সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘দুই দিক থেকে প্রতি সাড়ে তিন মিনিট অন্তর ট্রেন চলবে। মতিঝিল পর্যন্ত রেলপথ চালু হলে এই লাইনে মোট ২০টি ট্রেন চলবে।
এরই মধ্যে জাপান থেকে আট সেট ট্রেন দেশে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ২৪ সেট ট্রেন জাপান থেকে দেশে আসবে। এর মধ্যে চার সেট ট্রেন রিজার্ভ রাখা হবে।
ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, চূড়ান্তভাবে চলা ২৪ সেট ট্রেনের প্রতিটিতে আসন থাকবে মোট ৩০৬ জনের। তবে সাড়ে ৯ ফুট চওড়া এসব কোচের মাঝখানের প্রশস্ত জায়গায় যাত্রীরা দাঁড়িয়েও ভ্রমণ করবেন। বসে এবং দাঁড়িয়ে, সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ যাত্রী চড়তে পারবেন।
Leave a Reply