সদরঘাট রোডে চলমান বাস থেকে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করা অভিযোগ উঠেছে ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে পুরান ঢাকার সদরঘাটে বিক্ষোভ করেছে সদরঘাট রুটের বাসের চালক ও সহযোগীরা। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় সদরঘাট শাঁখারি বাজার মোড় সংলগ্ন এলাকায় প্রায় আধঘণ্টা ধরে আন্দোলন চলমান ছিল। পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সদরঘাট সংলগ্ন সকল বাস থেকে মামলার ভয় দেখিয়ে ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্ট ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আদায় করে থাকেন। কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলে গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া এমনকি ড্রাইভার অথবা হেলপারকে মারধর করেন।

আন্দোলনরত সাভার পরিবহনের ড্রাইভার মো. রাশেদ বলেন, মধু নামে ওই সার্জেন্ট অকারণে গাড়ি ধরে ৫০০ টাকা চেয়ে বসেন। টাকা না দিলে আড়াই হাজার অথবা পাঁচ হাজার টাকার মামলা দিয়ে দেন। সদরঘাটের এমন কোনো গাড়ি নেই যেই গাড়ি থেকে মধু স্যার টাকা নেননি।
আজমেরী পরিবহনের মালিক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, সার্জেন্ট মধুর অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। রোডে গাড়ি চললেই তাঁকে চাঁদা দিতে হয়। যার জন্য আজ আমরা সবাই মিলে এর প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে এসেছি। আমরা চাই এর সুষ্ঠু বিচার হোক।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সার্জেন্ট মধু বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমি কখনো কারও কাছ থেকে চাঁদা নিইনি। গাড়ির কাগজপত্রে সমস্যা থাকলে অথবা নির্দিষ্ট এরিয়ার বাইরে গাড়ি গেলে আমি আইনত মামলা দেই। ড্রাইভাররা টার্মিনালের দিকে গাড়ি নিয়ে যায় অথবা উল্টো পথে গাড়ি আনা-নেওয়া করে। তখন আমি মামলা দেই।’
আজকের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ সকালে একটা গাড়িতে মামলা দেওয়ার পর এরা সবাই অহেতুক রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করেছে।’
Leave a Reply