সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অসন্তোষ
বেসরকারি খাতে দেওয়ার পরও রেল লোকসানে চলছে। এমনকি ট্রেনপ্রতি আয়ের হিসাব থাকলেও ব্যয়ের হিসাব নেই। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। বৈঠকে কমিটির সদস্য রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, আসাদুজ্জামান নূর, মো. সাইফুজ্জামান, এইচ এম ইব্রাহিম, গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ ও নাদিরা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জানানো হয়, বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত ট্রেনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রতি কিলোমিটার যাত্রীপ্রতি খরচ হয়েছে দুই টাকা ৪৩ পয়সা। আর আয় হয়েছে ৬২ পয়সা। এ ছাড়া মালামাল পরিবহন বাবদ প্রতি কিলোমিটারে টনপ্রতি খরচ হয়েছে আট টাকা ৯৪ পয়সা। আয় হয়েছে তিন টাকা ১৮ পয়সা। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে ৪০টি ট্রেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বছরে এই ট্রেনগুলোতে আয় হয়েছে ৯৮ কোটি ৬১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৯০ টাকা। কিন্তু সেখানে ব্যয়ের হিসাব নেই। কমিটি বেসরকারি খাতের ট্রেনপ্রতি খরচের হিসাব চেয়েছে।
বৈঠকে বলা হয়েছে, বেসরকারি খাতে দিয়েও যদি লোকসানে থাকে, তাহলে লিজ দেওয়ার কোনো অর্থ হয় না। রেলওয়ে নিজেই তো চালাতে পারে। বৈঠকে বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত ৪০টি ট্রেনের বছরপ্রতি আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য পরের বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।
এদিকে আগের বৈঠকে কমিটির পক্ষ থেকে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ঈদের পর কোরিয়া, চীন কিংবা জাপানের রেলওয়ের কার্যক্রম সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করার জন্য কমিটির সদস্যদের সফরের ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে ওই সব দেশে এখনো ভ্রমণসংক্রান্ত বিভিন্ন বিধি-নিষেধ জারি রয়েছে। বিধি-নিষেধ শিথিল হলে ভ্রমণের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ছাড়া বৈঠকে চট্টগ্রামের সিআরবি অথবা কুমিরায় ১৩ একর জমিতে হাসপাতাল নির্মাণ, অবৈধভাবে দখল করা সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের জায়গা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জনগণের সহযোগিতায় পুনরুদ্ধার, হবিগঞ্জের সাটিয়াজুরী রেলওয়ে স্টেশন পর্যটন সুবিধাসহ আধুনিকায়ন বিষয়ে বৈঠকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
Leave a Reply