1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
র‌য়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির নতুন ৪ বাইকের যত ফিচার ঝালকাঠি থেকে ১১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ১০ দেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা

মই দিয়ে উঠতে হয় সেতুতে : চার বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ

বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • আপডেট : সোমবার, ১৬ মে, ২০২২

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের বগুড়া নদীর ওপর নির্মাণাধীন বগুড়া খেয়াঘাট সেতুটির কাজ গত চার বছরেও শেষ হয়নি। এমতাবস্থায় অনেকটা বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে নির্মাণাধীন ওই সেতুটি দিয়ে পারাপার হচ্ছে ১০ গ্রামের প্রায় ৭ হাজার মানুষ। রামপাল উপজেলা প্রকৌশলী বলছেন, করোনা মহামারি ও ব্রিজটির সংযোগ সড়কের জায়গা নিয়ে স্থানীয় দুই ব্যক্তির করা মামলার কারণে দুই দফায় ব্রিজটির নির্মাণকাজের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এলজিইডির অর্থায়নে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয় বগুড়া খেয়াঘাট ব্রিজটির।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আইটি অ্যান্ড জেই এই ব্রিজটির নির্মাণকাজ শুরু করে। ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ওই ব্রিজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৯২ লাখ ৫১ হাজার ১৩৩ টাকা। ইতোমধ্যে ব্রিজটির ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে জনসাধারণের চলাচলের জন্য ব্রিজটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা বলা হলেও সেটি সম্ভব হয়নি। নতুন করে মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী জুন মাসে ব্রিজটি উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ।
সরেজমিন দেখা যায়, হুড়কা ইউনিয়নের বেলাই, ভেকটমারী, গাজিখালী, কাঠামারী, নলবুনিয়া, গজগজিয়া, হুড়কা, চাড়াখালী ও ছিদামখালী গ্রামের প্রায় ৭ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সহজ মাধ্যম এই ব্রিজটি। ব্রিজটির সংযোগ সড়কের কাজ এখনো শেষ হয়নি। সংযোগ সড়কের কাজ না থাকায় বাঁশের মই দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় অমল দাস বলেন, ‘কয়েক বছর ধইরে দেখতিছি এই ব্রিজটার কাজ হচ্ছে, কাজ কবে যে শেষ হবে তার তো ঠিক-ঠিকানা নেই। রামপাল সদর, মোংলা ও বাগেরহাট যাওয়ার জন্যই আমাগো এই নদী পার হয়ে যাতি হয়। এ ছাড়া আমাগো তো আর কোনো উপায় নেই, তাই বাধ্য হয়ে ব্রিজের ওই মই বেয়ে যাতি হয়। আমরা বা কী করব, আমাগো তো কোনো উপায় নেই’। সুজন মজুমদার বলেন, হুড়কা ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র।
তারা কৃষিকাজ, মৎস্য ও মোংলা ইপিজেডে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। বগুড়া নদী পার হয়ে, তাদের শহরে যাতায়াত করতে হয়। এ ছাড়া যাতায়াতের বিকল্প যে পথটি রয়েছে, সেটি প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। তাই হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের সহজ মাধ্যম এই ব্রিজটি দ্রুত মানুষের চলাচলের উন্মুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি। হুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার বলেন, ২০১৮ সালের শেষের দিকে বগুড়া খেয়াঘাট ব্রিজটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রথম দিকে ব্রিজটির নির্মাণকাজ দ্রুত গতিতে চললেও একটা সময় করোনা মহামারি ও জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত মামলার কারণে ব্রিজটির কাজ থেমে যায়। মূল ব্রিজটির নির্মাণকাজ শেষ হয় অনেক আগেই। সমস্যা হচ্ছে ব্রিজটির একাংশের সংযোগ সড়ক নিয়ে। সংযোগ সড়কটির কিছু অংশ ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি থাকায় স্থানীয় বাসিন্দা খিরোজ দাস ও প্রতাপ রায় নামের দুই ব্যক্তি মামলা করেন। ওই মামলার কারণে ব্রিজটির সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবদ খিরোজ দাসকে ২ লাখ ও প্রতাপ রায়কে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করে গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজটি জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। রামপাল উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলজার হোসেন বলেন, করোনা মহামারি ও সীমানা জটিলতায় মামলার কারণে বগুড়া খেয়াঘাট ব্রিজটির কাজ দুই দফা পেছানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ব্রিজটির ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, এখন সংযোগ সড়কের কাজ চলছে। আশা করছি আগামী জুন মাসে ব্রিজটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সীমানা জটিলতায় যারা মামলা করেছিলেন, তাদের জমি অধিগ্রহণ বাবদ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দ্রুতগতিতে সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ চলছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT