বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর অষ্টম বৃহত্তর কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। এসব মৃত্যুর ৯০ শতাংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে সংগঠিত হয়। বাংলাদেশেই বছরে মারা যাচ্ছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এসব সড়ক দুর্ঘটনার একাধিক কারণ রয়েছে। তবে সড়কে চলাচলে পাঁচটি আচরণগত পরিবর্তন দুর্ঘটনা হ্রাসে সহায়ক হতে পারে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সভাকক্ষে ‘নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের রোড সেইফটি ছসমন্বয়কারী শারমিন রহমান সড়ক দুর্ঘটনা রোধের পাঁচ আচরণগত পরিবর্তনগুলোসহ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এ সময় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান, সংস্থাটির রোড সেইফটি প্রকল্পের এ্যাডভোকেসি অফিসার (পলিসি) ডা. তাসনিম মেহবুবা বাঁধন, এ্যাডভোকেসি অফিসার (কমিউনিকেশন) তরিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ডব্লিউএইচওসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদন তুলে ধরে বক্তারা বলেন, যদি গাড়ির গতি গড়ে পাঁচ শতাংশ কমানো হয় তাহলে ৩০ শতাংশ দুর্ঘটনা হ্রাস করা সম্ভব। মদ্যপ অবস্থায় মোটরযান চালানো নিষেধ আইনটি শতভাগ প্রয়োগ করা যায় তাহলে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২০ হ্রাস করা যাবে। মানসম্পন্ন হেলমেট ব্যবহারে দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঝুঁকি ৪০ শতাংশ হ্রাস করতে পারে এবং মাথার আঘাতের ঝুঁকি ৭০ শতাংশ হ্রাস করতে পারে। একইভাবে সিটবেল্ট পরা চালক এবং সামনের আসনে যাত্রীর মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি ৪৫-৫০ শতাংশ এবং পেছনের আসনের যাত্রীদের মধ্যে মৃত্যু এবং গুরুতর আঘাতের ঝুঁকি ২৫ শতাংশ হ্রাস করে।
শিশুদের জন্য নিরাপদ বা সুরক্ষিত আসন একইভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু যাত্রীদের বিশেষ করে বেশি ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ এবং বড় শিশুদের ক্ষেত্রে ৫৪-৮০ শতাংশ মারাত্মক আঘাত পাওয়া এবং মৃত্যু হ্রাসে অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়াও সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে পথচারী বা সড়ক ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে।
Leave a Reply