বিশেষ ব্যবস্থায় বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নারী রুমাইসা গেলগি অবশেষে প্রথমবারের মতো বিমান ভ্রমণের সুযোগ পেলেন। আর এর কৃতিত্ব তুর্কি এয়ারলাইনসের। বিমানের ছয়টি আসনকে স্ট্রেচারে পরিণত করার পর গেলগি তার কাঙ্ক্ষিত বিমান ভ্রমণ করতে সক্ষম হোন।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী প্রায় ৭ ফুট উচ্চতার গেলগি (২৫) ওয়েভার সিনড্রোম নামক একটি জেনেটিক রোগে আক্রান্ত। দৈনন্দিন চলাফেরার জন্য গেলগি সাধারণত হুইলচেয়ার ব্যবহার করে থাকেন; তবে স্বল্প দূরত্বে কোথাও যেতে হলে হেঁটেই যান।
পেশায় গেলগি একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার। গিনেসের সহায়তায় একটি ইভেন্টে যোগ দিতে এবং তার পেশাদার ক্যারিয়ার বিকাশে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে চেয়েছিলেন। হুইলচেয়ারে করেই মায়ের সাথে প্রথমে বিমানে ওঠেন রুমাইসা গেলগি। পরে স্ট্রেচারে শুয়ে ১৩ ঘণ্টায় সান ফ্রান্সিসকোতে পাড়ি দেন।
ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে গেলগি সাংবাদিকদের জানান, প্রথমবারের মতো বিমানে ভ্রমণ করতে পেরে তিনি খুব উত্তেজিত এবং তার মতো, ভ্রমণে যাদের স্ট্রেচার প্রয়োজন, তাদের জন্য এই ফ্লাইটটি খুবই গুরুত্ব বহন করবে। “এটি শুধু আমার প্রথম ফ্লাইটই নয়, আমার প্রথম বিদেশ ভ্রমণ। সাধারণত এক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট থেকে অন্য হাসপাতালে রোগী প্রেরণের ক্ষেত্রেই এই স্ট্রেচার সুবিধা দেওয়া হয়। তাই আমি বিশ্বাস করি যে এই অভিজ্ঞতাটি শুধু আমার নয়, অনেক ব্যক্তির জন্যই প্রথম হবে।”
“রোগী বহনের জন্যই ক্ষেত্রেই কেবল স্ট্রেচার সুবিধা সীমাবদ্ধ। কিন্তু স্কোলিওসিস বা মেরুদণ্ডের বক্রতাজনিত অসুখের কারণে আমি একটানা লম্বা সময় বসে থাকতে পারিনা, তাই আমাকেও স্ট্রেচারে ভ্রমণ করতে হলো”, যোগ করেন রুমাইসা।
গেলগি তুর্কিয়ের রাজধানী আঙ্কারার উত্তরে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে কারাবুকে বাস করেন। নিজের বিশ্বরেকর্ড উপাধি ব্যবহার করে রুমাইসা ওয়েভার সিনড্রোম এবং স্কোলিওসিসের পক্ষে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছেন বলে জানান।
বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘাকার মানুষ সুলতান কোসেনও তুর্কিয়েতে বাস করেন। সুলতান কোসেনের উচ্চতা ৮ ফুট ২.৮ ইঞ্চি।
Leave a Reply